পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনীতির মাঠে এখন আমলারা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, রাজনীতির মাঠে এখন আর রাজনীতিবিদরা নেই। রাজনীতির মাঠে খেলছে আমলারা, রাজনীতিবিদরা লাইনে বসে খেলা দেখছেন। গতকাল দলের বনানী অফিস মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি খুলনা বিভাগ আয়োজিত পোষ্টার ও ক্যালেন্ডার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক জনগণ। তাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই দেশ পরিচালনা করার কথা। কিন্তু কাজ কর্মে এমপি সাহেবদের খরবই নেই; আর সচিব সাহেবরা সব কাজ করেন মন্ত্রী মহোদয়রা শুধু জানতে চান।
জিএম কাদের বলেন, জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের দুঃখ-কষ্ট সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তারাই জনগণের বেশি উপকার করতে পারেন। আবার আমলারা হচ্ছে রোবটের মত, তারা একটি গন্ডির ভেতরে কাজ করতে অভ্যস্ত। আমলারা রাজনীতিবিদদের মত সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মূল্য দিন। জনপ্রতিনিধিরা সুযোগ পেলে দেশের মানুষের অনেক বেশি উপকার হবে। জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করে আমলাদের দিয়ে দেশ পরিচালনা কখনোই মঙ্গলজনক হবেনা।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টিকে একটি ব্যান্ড হিসেবে তৈরী করা হবে। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সম্মান করবে দেশের জনসাধারণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ১৯৯১ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টিকে ধংস করতে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। জাতীয় পার্টিকে অনেক দুর্বল করেছে। কিন্তু পল্লীবন্ধুর প্রতি মানুষের ভালোবাসা আর জাতীয় পার্টির প্রতি গভীর আস্থার কারণে দল আবারো ঘুরে দাড়িয়েছে। দেশের মানুষ দুটি রাজনৈতিক দলের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে চায়। জনসাধারণ চায় জাতীয় পার্টির রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিক। কারন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামলের চেয়ে জাতীয় পার্টির শাসনামলে তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি সুশাসন ছিলো। আর এ কারনেই জাতীয় পার্টি দেশের সব চেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি।
জাতীয় পার্টির খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা-র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, নাজনিন সুলতানা, যুগ্ম মহাসচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, হুমায়ুন খান, এডভোকেট জহিরুল হক জহির, সাইফুদ্দিন খালেদ, সম্পাদমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এম.এ. রাজ্জাক খান প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।