Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডু প্লেসির রানই করতে পারলো না শ্রীলঙ্কা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

মাত্র ১ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে ফাফ ডু প্লেসি খেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৯৯ রানের ইনিংস। তার দুর্দান্ত ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার গড়া রান পাহাড়ে চাপা পড়লো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে ডু প্লেসির রানটাই করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা! অলআউট হয়েছে ১৮০ রানে।
আঘাত পেয়ে প্রথম ইনিংসে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ধনাঞ্জয় ডি সিলভাকে। তার আর মাঠে ফেরা হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট করতে পারেননি, তাই ৯ উইকেট পড়তেই নিশ্চিত হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস ব্যবধানে হার। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কানরা। সেঞ্চুরিয়নের বক্সিং ডে টেস্ট প্রোটিয়ারা জিতে নিয়েছে ইনিংস ও ৪৫ রানে।
ফাফ ডু প্লেসির ১৯৯ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৬২১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রান করে নিজেদের সামর্থ্যরে জানান দিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মুখ থুবড়ে পড়লো সফরকারীরা। কুশল পেরেরা ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারেননি। তাই ৪৬.১ ওভারে ১৮০ রানে গুটিয়ে গিয়ে ইনিংস হারের লজ্জায় ডুবেছে তারা। বিপরীতে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা।
সাড়ে তিন দিনেই শেষ সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বল হাতে ঝড় তুলেছিলেন লুঙ্গি এনগিদি। তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। আর চতুর্থ দিনে তান্ডব চালিয়েছেন উইয়ান মুল্ডার, আনরিখ নর্কিয়া ও লুথো সিপামলা। তাদের সবারই শিকার ২টি করে উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন দিনেশ চান্ডিমাল। দ্বিতীয় ইনিংসে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের কাছে প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত মিলেছিল তার ব্যাটে। কিন্তু চতুর্থ দিনের সকালে তিনি মুল্ডারের শিকার হয়ে ফেরেন ২৫ রান করে। খানিক পর আবারও মুল্ডারের আঘাত। ২২ বছর বয়সী পেসার এবার ফেরান ১০ রান করা নিরোশান ডিকবেলাকে।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যাচ্ছিলেন কুশল পেরেরা। তবে তার সম্ভাবনাময় ইনিংসের সমাপ্তি হয় ৬৪ রানে, নর্কিয়ার বলে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের গøাভসবন্দী হলে। ৮৭ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১০ বাউন্ডারিতে। তার বিদায়ের পর বল হাতে আলো ছড়ানো হাসারাঙ্গা ব্যাট হাতেও জ্বলে ওঠেন। দাসুন শানাকাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন। শানাকা মাত্র ৬ রান করলেও খেলেন ৩৫টি বল। আর হাসারাঙ্গা টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি প‚রণ করে খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। ৫৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়।
হাসারাঙ্গার ওই ইনিংসটার কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকার জয় পেতে দেরি হয়েছে। তার বিদায়ের ৪ বল পরই জয়ের আনন্দে মাতে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে পেসাররা দাপট দেখালেও ম্যাচসেরা হয়েছেন ১ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা ডু প্লেসি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৩৯৬ ও ২য় ইনিংস : ৪৬.১ ওভারে ১৮০ (কুশল পেরেরা ৬৪, হাসারাঙ্গা ৫৯, চান্ডিমাল ২৫, ডিকবেলা ১০; সিপামলা ২/২৪, এনগিদি ২/৩৮, মুল্ডার ২/৩৯, নর্কিয়া ২/৪৭)। দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস : ১৪২.১ ওভারে ৬২১ (ডু প্লেসি ১৯৯, এলগার ৯৫, মহারাজ ৭৩, বাভুমা ৭১, এইডেন মারক্রাম ৬৮; হাসারাঙ্গা ৪/১৭১, বিশ্ব ৩/১২৯, শানাকা ২/৯৮)। ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ৪৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : ফাফ ডু প্লেসি। সিরিজ : দুই ম্যাচে ১-০তে এগিয়ে দ.আফ্রিকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ