ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ‘ডি’ গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ আটে গেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। অন্যদিকে এই গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর টানা দু’ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়লো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবাহনী ২-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে সেরা হয়। বিজয়ী দলের পক্ষে আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি ও হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কারভেন্স একটি করে গোল করেন। মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে সান্তনার গোল শোধ দেন মিডফিল্ডার রোহিত সরকার।
কাল একই ভেন্যুতে রাতে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ৩-২ ব্যবধানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে গেল। ম্যাচে হারলেও শেখ জামাল প্রতিপক্ষের জালে বেশি গোল দেয়ার সুবাদে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়েই গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে রাসেলের সঙ্গী হলো। বিজয়ী দলের হয়ে তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিওভুস আসরোরভ, নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড উগোচুকো ওবি মানেকে ও বদলী ফরোয়ার্ড তকলিস আহমেদ একটি করে গোল করেন। শেখ জামালের পক্ষে দু’গোল শোধ দেন অধিনায়ক গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং। 
‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি মোহামেডানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দাপটের সঙ্গেই মৌসুম শুরু করে আবাহনী। দ্বিতীয় ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষেও জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকে আকাশী-হলুদরা। মালয়েশিয়ান কোচ রাজা ইসা ঢাকায় এসে মুক্তিযোদ্ধার হাল ধরলে কালই প্রথমবার তার অধীনে খেলে দল। এতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হলেও রাজা ইসার অধীনে আবাহনীর বিপক্ষে ভালোই খেলেছে মুক্তিযোদ্ধা। গোলও কম হজম করেছে তারা। বলতে গেলে পুরো ম্যাচে আবাহনীর ঘাম ঝড়িয়েছেন ইউসেকো কাতোরা। ম্যাচ জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আবাহনীকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় মুক্তিযোদ্ধা। তারা একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করলেও অভিজ্ঞতার অভাবে ম্যাচ নিজেদের করে নিতে পারেনি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী। ম্যাচ শেষে আাবহনী ডাগআউটে গিয়ে সবার সঙ্গে পরিচিত হন মুক্তিযোদ্ধার কোচ রাজা ইসা।
এদিকে কাল রাতে শেখ রাসেল ও শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচে রাসেল ৩-২ ব্যবধানে জিতলেও কপাল পুড়েছে সার্ভিসেস দল বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’র। দু’ম্যাচে রাসেল টানা দুই জয় পেলেও পুলিশ ও জামাল নিজেদের মধ্যে ২-২ গোলে ড্র করেছিল। পুলিশ প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেলের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে। ফলে সমান ১ পয়েন্ট থাকলেও প্রতিপক্ষের জালে বেশি গোল (চার গোল) দেয়ায় পুলিশকে পেছনে ফেলে শেষ আটে জায়গা পেল শেখ জামাল।