পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। আমাদের এলাকা দিয়ে ধাওয়া দিলে তারা দুর্গম এলাকা পার হয়ে ওই দিকে (ভারতে) চলে যায়। সেটাই যেন না হয় সেজন্য আমরা বিওপির সংখ্যা বাড়াচ্ছি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা যতটুকু পারছেন সহযোগিতা করছেন, আমরাও টোই করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলে থাকেন, আমাদের দেশে এক ইঞ্চি জমিও আমরা কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করতে দেবো না এবং আমরা সেটাই করছি। তারাও (বিএসএফ) আমাদের এভাবে সহযোগিতা করছেন। গতকাল বুধবার পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের মাল্টিপারপাস শেডে বাহিনীটির ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
বিজিবির সদস্যদের মধ্যে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে সন্ত্রাসী তৎপরতা কমাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) অভিযান চালাতে বলেছে বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী আস্তানার তালিকাও বিএসএফকে দেয়া হয়েছে। এর আগে ভারতের দেয়া তালিকা ধরে বাংলাদেশও সীমান্তে সন্ত্রাসীর খোঁজে অভিযান চালিয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যে সীমান্ত রয়েছে, সেখানেও এমন কিছু এলাকা সম্পর্কে আমাদের কাছে কিছু গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ওইসব এলাকা থেকে সীমান্ত পার হয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী চক্র অপরাধ করে চলে যায়। আবার ওইখানে অপরাধ করে আমাদের এখানে এসে শেল্টার নেয়।
এসব বন্ধ করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছি। এছাড়া আমরা বর্ডার রোড নির্মাণে জোর দিয়েছি। বর্ডার রোডে হয়ে গেলে এসব সমস্যা আর হবে না।
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানা আছে বলে ভারতের কাছে স¤প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম। ভারতে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই আস্তানাগুলো ধ্বংস করার জন্যও ভারতের কাছে অনুরোধ জানান বিজিবি মহাপরিচালক। আস্তানাগুলো ধ্বংসের অনুরোধে বিএসএফ কী জানিয়েছে- সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদক পাচার ও নারী-শিশুপাচার রোধে বিজিবির সফলতা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ইয়াবা, ফেনসিডিল এবং অন্যান্য মাদক পাচা রোধে বিজিবি বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে মহাপরিচালক বলেন, বিজিবিতে দুটি হেলিকপ্টার, যুগোপযোগী ও কার্যকরী ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র, আর্মড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, অল টেরেইন ভেহিক্যাল, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হাইস্পিড বোট, ইন্টারসেপ্টর বোট, ইউটিলিটি বোটসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৮০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা ‘স্মার্ট বর্ডার সার্ভেল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম’এর আওতায় আনা হয়েছে। চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৯ জনকে পদক দেয়া হয়। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বিজিবির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।