মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যের কারাক জেলায় জনতার দ্বারা ধ্বংস হওয়া হিন্দুদের মন্দির পুনর্র্নিমাণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রাদেশিক সরকারের তহবিল ব্যবহার করে এটি পুনর্র্নিমাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী কামরান বঙ্গশ।
আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রাদেশিক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, হামলার ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ইতোমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মন্দির এবং সংলগ্ন বাড়িটি পুনর্র্নিমাণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার পেশোয়ার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কারাক জেলায় অবস্থিত শ্রী পরমহংস জি মহারাজ সমাধি মন্দিরে হামলা চালায় স্থানীয় মুসলমানরা।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে মন্দির সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। সেটির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করবেন বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন মুসলিম নেতারা। কিন্তু বিক্ষোভের সময় তারা উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া শুরু করেন।
এর পরই উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কেউ কেউ হাতুড়ি দিয়ে দেয়াল ভেঙে দেয়। হামলার ভিডিও ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে।
এদিকে, ওই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় মুসলিম নেতা মোল্লা শরীফসহ প্রায় ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রধান ইরফানুল্লাহ খান।
তিনি আরো জানান, পুলিশ পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম ইসলামী দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (জেআইআই-এফ) জেলা নেতা মোল্লা মির্জা আকিমকেও খুঁজছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মন্দির ধ্বংসের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, মানবাধিকার কর্মী এবং সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
পেশোয়ার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কারাক জেলা। সেখানে ১৯ শতকের শুরুর দিকে মন্দিরটি স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে হামলা চালিয়ে মন্দিরটি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ২০১৫ সালে এক আদেশে এটি পুনঃর্নিমাণের ঘোষণা দিয়ে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।