Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এ বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গত তিন বছরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে না পারলেও এ বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল রবিবার বছরের প্রথম কার্যদিবসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ বছর প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।
বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর দফতরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে চিঠি লিখে এ বছর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চিঠিতে কী লেখা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করিয়ে দিয়েছি তাদের প্রতিশ্রুতির কথা। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে নিরাপত্তা দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে কিন্তু কোনও অগ্রগতি হয়নি।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি বলেছি এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নববর্ষে আমরা আশা করি যে আপনারা আপনাদের কথা রাখবেন।
১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ অবতারণা করে তিনি বলেন, আমি বলেছি, অতীতে কথা রেখেছেন এবং এখন নিজেদের লোকগুলো নিয়ে যান। যদি এদের ফিরিয়ে না নেওয়া হয়, তবে এ অঞ্চলে অশান্তির আশঙ্কা আছে।
সমস্যার সমাধান একমাত্র মিয়ানমারই করতে পারে এবং তাদের ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিয়ানমারের ব্যবহারে পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা আশাবাদী। দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এমনকি আইনি কাঠামোর মধ্যেও কাজ করছি। যত ব্যবস্থা আছে সব নিয়ে কাজ করছি।
মিয়ারমারকে যাচাই-বাছাই করার জন্য ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে তারা ২৮ হাজার যাচাই-বাছাই করেছে। তারা অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ত্রিপক্ষীয় বৈঠক বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি মিয়ানমারই পেচ্ছাছিল। বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমার ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার উদ্যোক্তা হচ্ছে চীন। তারা এটি নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবসময় তৈরি। তারা যখন তারিখ দেবে আমরা বসবো।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাপান জানিয়ে তিনি বলেন, জাপানের অনেক বড় বিনিয়োগ আছে মিয়ানমারে। তাদের অনুরোধ করেছিলাম এবং তারা বলেছিল যে নিশ্চয় তারা আমাদের সাহায্য করবে। কারণ, মিয়ানমারের ওপরে জাপানের প্রভাব আছে। এটি চীনের উদ্যোগের বাইরে। তবে জাপানের উদ্যোগে কাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। আমরা বলেছি এবং তারা পছন্দ করেছে।
ভারত আমাদের বলেছে, তারা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করবে এবং সহায়তা করবে। তারাও চায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাক। ভারত, জাপান, চীন সবাই আমাদের সঙ্গে একমত যে মিয়ানমারেই সমস্যার সমাধান নিহিত আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ