Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বমানের কেএন৯৫ মাস্ক বাজারে আনলো জেএমআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:১৮ পিএম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বিশ্বমানের কেএন৯৫ মাস্ক নিয়ে বাজারে এলো দেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং। সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মাস্ক বাজারজাতের প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি প্রফেসর ইকবাল আর্সলান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কেএন৯৫ মাস্কের কথা এতদিন শোনা গেলেও, এখন বিশ্বমানের কেএন৯৫ মাস্ক আমাদের হাতের নাগালে। কেএন৯৫ মাস্ক বাজারে আনার মাধ্যমে দেশে একটি ইতিহাস তৈরি করেছে জেএমআই। এজন্য জেএমআই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাকের দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মেনে করোনা প্রতিরোধ করায় ভাইরাস মোকাবিলায় এখন বিশ্বে শীর্ষ স্থানে থেকে অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। চীনের উহানে যখন প্রথম কোভিড মহামারি শুরু হয়, তখন সেখানে সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহায়তা দেয়ায় জে এম আই গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাচিপের সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে প্রস্তুতি অপর্যাপ্ত ছিল। তবে, সে সময় জেএমআইকে পাশে পেয়েছি আমরা। শুরুতে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ৪ লাখ করোনা শনাক্তের জন্য লালা সংগ্রহের কাঠি (সোয়াব স্টিক) সরবরাহ করে জেএমআই। তিনি বলেন, শতভাগ কেএন৯৫ মাস্ক এতদিন আমদানি নির্ভর ছিল, এখন জনগণের সেবায় তা সাশ্রয়ী মূল্যে দিচ্ছে জেএমআই। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যমী ও দৃঢ় মনোবলের কারনে এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন স্বাচিপ সভাপতি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল পাঠান বলেন, করোনাকালে জেএমআই গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিএনএ সল্যুশনের ল্যাবের আরটিপিসিআর মেশিনে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আবার সরবরাহ করা হয়েছে কোভিড চিকিৎসার ওষুধপত্র। এই ল্যাবে করোনার জিনম সিকোয়েন্স করছেন বেশ কয়েকজন গবেষক ও শিক্ষক, যারা ইতোমধ্যে ভাইরাসের গতিপ্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

জেএমআই গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাস্কটিতে থাকছে পাঁচ স্তরের সুরক্ষা। এর মধ্যে তিন স্তরে থাকছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফিল্টার পেপার। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে দেশ-বিদেশের পরীক্ষাগারে মাস্কের মান ও যোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়েছে। আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ১০০ টাকায় প্রতিটি মাস্ক বিক্রি করবে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। গত বছরের এপ্রিলের পর দেশে যখন কোভিড রোগীর শনাক্ত এবং মৃত্যুর হার বাড়তে শুরু করেছিল, তখন আন্তর্জাতিক মানের ফেস মাস্কসহ নানা সরঞ্জাম তৈরি করে আমরা সরকারকে সহায়তা দেই। যা ওই দুঃসময়ে দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিলোনা।

করোনা প্রতিরোধী এন৯৫, কেএন৯৫ কিংবা এফএফপিটুর মতো মাস্ক উৎপাদন হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ-কোরিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশে। বাংলাদেশে এসব মাস্ক উৎপাদনের কোনো মানদন্ড না থাকায় চীনের নীতিমালা মেনে দেশে কেএন নায়েন্টিফাইভ মানের মাস্ক উৎপাদন করেছে জেএমআই। প্রায় এক বছর গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন এই পণ্যটি তৈরি করেছে তারা।

জেএমআই গ্রুপ দীর্ঘ ২১ বছর চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ব্যবসায় যুক্ত। কেএন৯৫ মাস্ক তৈরিতে তাদের সাথে যৌথ বিনিয়োগে আছে চীনা পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লিজ ফ্যাশন। দিনে প্রায় ৪০ হাজার পিস মাস্ক উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে জেএমআইয়ের। যে ধরনের মাস্ক দিয়ে ৯৫ শতাংশ পর্যন্তক্ষুদ্র জীবাণু প্রতিরোধ করা যায়, সেটাই হলো এন৯৫ মাস্ক। মূলত ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিরা এই মাস্ক পরে থাকেন। বিশ্বে খুবই স্বল্প পরিচিতি থাকা এই পণ্য করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে রাতারাতি চলে এসেছে মানুষের মুখে মুখে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেএমআই

২৩ আগস্ট, ২০২২
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ