Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গাড়ি আটকায় কাদা পানিতে পায় হেঁটে চলা দায়

প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস এম হুমায়ুন কবীর, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) থেকে
ত্রিশাল উপজেলাটি মৎস্য চাষের জন্য সারা বাংলাদেশের মাঝে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এর মধ্যে উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নেই রয়েছে অসংখ্য মাছ চাষের প্রজেক্ট। সেই ধানীখোলা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট এতটাই নাজুক ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যে, যার ফলে বিভিন্ন ফিসারী প্রজেক্ট এলাকায় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মৎস্য চাষীরা চরম ভোগান্তি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে রাস্তাঘাট দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। বিশেষ করে ভাওয়ালীয়াপাড়া হয়ে ঝাইয়ারপাড় সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত ৫০০১নং রোডটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই রাস্তাটির ২ কিলোমিটার এলাকার দুই পাশে শত শত মৎস্য প্রজেক্ট রয়েছে। মৎস্য চাষীদের মাছের খাবার সরবরাহ ও মাছ বিক্রির ক্ষেত্রে কোন যানবাহন এই রোড দিয়ে চলাচল করতে পারে না। এর ফলে মাছ চাষীদের অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। একাধিক মৎস্য চাষী জানান, আমরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রজেক্ট চালু করেছি। রাস্তা ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় আমরা কতটা লাভবান হতে পারব সেটা নিয়ে ভাবছি। অপরদিকে এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন ঝাইয়ারপাড় সিনিয়র মাদ্রাসাসহ আরো ২টি প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীর যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটি ভেঙে এমন দশা হয়েছে শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতেও কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে। স্থানীয় আব্দুল হক জানান, এরকম রাস্তা আর অন্য কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই। রাস্তা ভাঙার করণে আমাদের তো সমস্য হচ্ছেই পাশাপাশি আমাদের আত্মীয়-স্বজনরাও বেড়াতে আসতে চায় না। হারুন অর রশীদ জানান, আমাদের এ অঞ্চলের মাছ চাষীদের পরিশ্রমের ফসল সারাদেশের মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ করছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাকা করে মাছ চাষীসহ সকলের দুর্ভোগ লাগব করা হোক। ধানীখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, রাস্তাটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় আমাদে স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রায় ২/৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে হেঁটে স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই আমরা স্কুলে যেতে পারি না। স্থানীয় মৎস্য চাষী আব্দুল কাদের জিলানী জানান, ২০১৪ সালে রাস্তাটিতে বিটুমিন কার্পেটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কার্পেটিং না করে নিম্নমানের ইট দিয়ে সলিং করা হয়েছিল। যার ফলে রাস্তাটি এক বছর যেতে না যেতেই ভেঙ্গে এ বেহালদশা  হয়েছে। ধানীখোলা ঝাইয়ারপাড় সিনিয়র মাদ্রাসার প্রভাসক আজহারুল ইসলাম জানান, রাস্তাটির কারণে আমরা শিক্ষকসহ শত শত শিক্ষার্থী অত্যন্ত ভোগান্তিতে রয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাড়ি আটকায় কাদা পানিতে পায় হেঁটে চলা দায়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ