Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য উন্নয়নের একযুগ

সচিত্র বঙ্গবন্ধু মোড়ক উন্মোচনে তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

সরকারের যুগপূর্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের একযুগ বলে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্যর্থতার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদেরকে দিয়ে রাজনীতি করে, যারা স্বাধীনতাটাই চায়নি। সেকারণেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি এবং সেটিই আমাদের ব্যর্থতা।

গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ আলোকচিত্র এলবামের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, একযুগ পূর্তিতে সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে গত ১২ বছরে দেশের যেমন উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে বহুলাংশে, বাংলাদেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা, খালিপায়ে মানুষ দেখা যায় না, কবিতায় কুঁড়ে ঘর আছে, বাস্তবে নেই। ১২ বছর আগে আমরা বলতাম ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ বিনির্মাণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ক্ষুধাকে জয় করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূণপ্রায়, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নীত মধ্যম আয়ের দেশে। সমস্ত সূচকে আমরা অনেক আগেই পাকিস্তানকে ও বেশ অনেক সূচকে ভারতকেও অতিক্রম করেছি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বড় অর্জন হচ্ছে বাংলাদেশ ছিল স্বল্পোন্নত দেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও একটি বড় রাজনৈতিক দল যারা স্বাধীনতা চায়নি তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিল তারা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের সাথে নিয়ে রাজনীতি করাই সরকারের বড় ব্যর্থতা। আমাদের উন্নয়নের অগ্রগতি বিএনপি দেখতে পারে না। তেমনি কিছু কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানও তা দেখতে পারে না। তাই অন্ধের মত সমালোচনা না করে গঠনমূলক সমালোচনা চায় সরকার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে মাত্র ২২টি দেশে ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। প্রায় সবদেশের রপ্তানি কমলেও আগের বছরের তুলনায় আমাদের রপ্তানি বেড়েছে, রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার, জ্বালানি চাহিদাও বেড়েছে, যা অগ্রগতির প্রতীক। সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও বাংলাদেশ করোনা মহামারি মোকাবিলায় উপমহাদেশে সবচেয়ে সক্ষম এবং পৃথিবীতে ২০তম। ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ থেকে দারিদ্র্যের হার কমে এখন ২০ শতাংশের নিচে, এবং অতিদারিদ্র্যের হার ২৪.২৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে, গড় আয়ু ৬৫ বছর থেকে হয়েছে ৭৩.২ বছর, যা ভারত এবং পাকিস্তানের চেয়েও অনেক বেশি।

সচিত্র বঙ্গবন্ধু এলবামে অনেক দুর্লভ ছবি স্থান পেয়েছে ও বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই ক্যাপশন দেয়ায় বিদেশিরাও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে উল্লেখ করে এ প্রকাশনার জন্য চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ধারণের জন্য চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একযোগে কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সরকার চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের (ডিএফপি) ডিজি স. ম. গোলাম কিবরিয়া এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ