Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আর্মেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কারাবাখ সফরের নিন্দা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম


নাগরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরা আইভাজিয়ানের সফরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আজারবাইজান। আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ‘অবৈধ’ বলে এই সফরের নিন্দা জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার, আইভাজিয়ান নাগরনো-কারাবাখ সফরে যান এবং ওই স্থানের আর্মেনীয় প্রশাসনের সাথে সাক্ষাত করেন। আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নাগরনো-কারাবাখে আর্মেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর এবং বিভিন্ন ‘দলিলে’ স্বাক্ষর গত বছরের ১০ নভেম্বর রাশিয়া, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় ঘোষণার পরিপন্থী। এতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, ১০ নভেম্বরে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছিলেন ইয়েরেভানের কর্মকর্তার হাতে তার লঙ্ঘন উস্কানিম‚লক।’ বিবৃতিতে জানানো হয়, অবাস্তব স্বপ্নের ভিত্তিতে কাজ করা আর্মেনিয়ার কর্মকর্তাদের উচিত নয়। তাদের উচিত এই অঞ্চলের নতুন বাস্তবতাকে মেনে নেয়া। এতে আরো বলা হয়, ‘১০ নভেম্বরের যৌথ বিবৃতি বাস্তবায়ন এবং নতুন নিরাপত্তা বিন্যাসের অধীনে পদক্ষেপ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে আবির্ভ‚ত হওয়া পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ শান্তিপ‚র্ণ ও নিরাপদ সহাবস্থান তৈরিতে অবদান রাখতে পারে।’ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৯৯১ সালে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত নাগরনো-কারাবাখ ও এর কাছের আরো সাতটি অঞ্চল ১৯৯৪ সালে আর্মেনিয়া দখল করে নিলে এই উত্তেজনা নতুন দিকে মোড় নেয়। ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজানের সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়। ৪৪ দিনের যুদ্ধে বাকু আর্মেনিয়ার দখলে থাকা বিভিন্ন কৌশলগত গুরুত্বপ‚র্ণ শহর এবং তিন শ’র বেশি গ্রাম ও বসতি মুক্ত করে। এ যুদ্ধের আগে প্রায় তিন দশকের মতো আজারবাইজানের ২০ শতাংশ ভ‚খÐ আর্মেনিয়ার দখলে ছিল। ৪৪ দিনের যুদ্ধের পর ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী নাগরনো-কারাবাখসহ আর্মেনিয়ার অধিকৃত সব আজারবাইজানি ভ‚খÐ থেকে আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীকে সরিয়ে নিতে সম্মত হয় দেশটি। এই চুক্তিকে আজারবাইজানের জয় এবং আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইয়েনি সাফাক।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ