Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অপেক্ষমাণ হজযাত্রী কোটা প্রাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা : মতবিনিময় সভায়-হাব সমন্বয় পরিষদ

শনিবার এহরামের কাপড় নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি

প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অপেক্ষমাণ হজযাত্রীদের কোটা বরাদ্দ পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হাব সমন্বয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ। কোটা-বঞ্চিত প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী চলতি বছর হজে যেতে না পেরে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। সর্বোচ্চ কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হলে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ১১ হাজার হজযাত্রীর নতুন কোটা বরাদ্দ সম্ভব। অপেক্ষমাণ হজযাত্রীদের কোটা বরাদ্দের দাবিতে আগামী শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এহরামের কাপড় পরে হজ যাত্রীদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দরুন চলতি বছর সউদী আরবে প্রায় ৭ লাখ হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে। গতকাল দৈনিক বাংলার মোড়স্থ হাব সমন্বয় পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। হাব সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক আলহাজ রুহুল আমিন মিন্টু’র সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও সংগঠনের সদস্য সচিব রেজাউল করিম উজ্জল, হাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খাদেমুল হুজ্জাজ তাজুল ইসলাম দারোগা, মাওলানা যাকারিয়া, নাজমুল হক, আলহাজ শহিদুল্লাহ খান, মাওলানা আজিজুল হক বুলবুলি, এম এম ইসমাইল মালেক। সংগঠনের সভাপতি আলহাজ রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, অপেক্ষমাণ হজযাত্রীগণ হজে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, সউদী আরবে চলতি বছর প্রায় ৭ লাখ হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে। সউদী মোয়াসসাসা কর্তৃপক্ষ মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশনকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের জন্য নতুন অতিরিক্ত ১১ হাজার কোটা দিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু হজ মিশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার দরুন এসব নতুন কোটা এতে অপেক্ষমাণ হজ যাত্রীদের হজে পাঠানো হচ্ছে না। তিনি ১১ হাজার হজ যাত্রীর নতুন কোটা প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। হাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাব কোনো ব্যবসায়িক সংগঠন নয়। অথচ হাব নেতৃবৃন্দ হজযাত্রীদের স্বার্থ না দেখে নিজেদের ভাগ্যের উন্নতি নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, হাবের এজিএম-এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল হজযাত্রীদের ট্রলিব্যাগ স্ব-স্ব হজ এজেন্সির মালিকরাই ক্রয় করবে। কিন্তু হাব নেতারা নি¤œমানের ট্রলিব্যাগ ক্রয় করে প্রায় ১৩/১৪ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। সদস্য সচিব রেজাউল করিম উজ্জল বলেন, ধর্মমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, হজ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এজেন্সির মালিকদের কঠোর শাস্তি দিতে পিছপা হবেন না। তিনি বলেন, আমরা অপেক্ষমাণ হজযাত্রীদের হজে পাঠানোর দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হয়ে যাই। অথচ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাবের সাবেক এক বিতর্কিত নেতা কীভাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের পাশে বসেন তা বোধগম্য নয়। যারা হজ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তারাই মন্ত্রণালয়ে ও মন্ত্রীর বাসায় ঘুরঘুর করেন। আগামী শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অপেক্ষমাণ হজযাত্রীদের কোটা বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপের দাবিতে এহরামের কাপড় নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
 বদরপুর হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ সংস্থা
এদিকে, বদরপুর হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান বদরপুরের পীর ছাহেব মুফতি আলহাজ শাহ্ সাঈয়্যেদ মু’তাসিম বিল্লাহ রব্বানী এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, কোটাবঞ্চিত প্রাক নিবন্ধিত অপেক্ষমাণ হাজার হাজার হজযাত্রীকে হজে প্রেরণে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক হাজী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সার্ভারে সমস্যার কারণে কোটা-বঞ্চিত হজযাত্রীগণ চলতি বছর  হজে যেতে না পারলে ধর্ম মন্ত্রণালয়, হাব ও হজ এজেন্সির প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে এবং হজ ব্যবস্থাপনার চরম অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার দরুন দেশের এবং সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হবে।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপেক

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৫ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ