Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ন্যূনতম লজ্জা থাকলে ইসির পদত্যাগ করা উচিত

মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ন্যূনতম লাজ-লজ্জ্বা থাকলে পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারগণের যে ন্যূনতম লাজ-লজ্জ্বা থাকে সেটা বর্তমান কমিশনারদের মাঝে আজ পর্যন্ত দেখিনি। লজ্জ্বা থাকলে আপনাদের এখনই পদত্যাগ করা উচিত, এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় এদেশের মানুষ তারা আপনাদেরকে সরে যেতে বাধ্য করবে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ‘পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার’ দায়ে কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে অযোগ্যতার কারণে। তাদের সেই অভিজ্ঞতা নেই যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন তারা করবে। জাতীয় নির্বাচন গেছে। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো একইভাবে তারা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, গাজীপুরের শ্রীপুরে কীভাবে আমাদের প্রার্থী-কর্মীদের নির্যাতন, নিপীড়ন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কোনো কিছুই করতে পারেনি। যখন সম্পূর্ণভাবে ভোট চুরি করে নিয়ে যায় তারপরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা (কেএম নুরুল হুদা) সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। এমন সুষ্ঠু হয়েছে যে, শতকরা ১০০ ভাগের বেশিও ভোট কোনো কোনো কেন্দ্রে পড়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার অনির্বাচিত সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার। খুব পরিস্কারভাবে বলতে চাই, এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন। মানে মানে চলে যান। তাহলে এদেশের মানুষের যে ইতিহাস, সেই ইতিহাসে এদেশের মানুষ অবশ্যই একদিন জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হবে, সংঘবদ্ধ হবে এবং আপনাদের চলে যেতে বাধ্য করবে।
দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে তারা দেশকে স্বাধীন করেছিলেন এবং লক্ষ্য ছিল, আকাক্সক্ষা ছিল- দেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। মানুষের আকাক্সক্ষা ছিল এদেশের মানুষ একটা মুক্ত সমাজে বাস করবে, যার যেটা মত আছে সেটা প্রকাশ করবে এবং তার মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা বাংলাদেশ গড়ে উঠবে যেখানে মানুষ তাদের সমস্ত কথা বলতে পারবে, তাদেরকে বিকশিত করতে পারবে। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই আকাক্সক্ষাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়ে দেশে একটা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। তাদের লোকেরা কীভাবে দুর্নীতি, কীভাবে চুরি করছে। সমস্ত দেশটাতে তারা একটা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করে দিয়েছে।
বৃহত্তর গণঐক্য তৈরির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার জনগণকে হত্যা করেছেন, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাদেরকে সরানোর জন্য আমরা বৃহত্তর গণঐক্য গঠন করি। বৃহত্তর গণঐক্যের ব্যাপারে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন আমাদের নিজেদের অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকারকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করি।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম নকির পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, গোলাম সারোয়ার, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ