Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ বগুড়া নার্সিং কলেজ

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বগুড়া নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলে ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালা অনুকরণ না করে চিকিৎসা সামগ্রী, প্রিন্টারের টোনার, কম্পিউটার সামগ্রী, ফটোকপি মেশিন মেরামত, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, বিছানাপত্র, বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরির বই, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, লাইব্রেরির বই ক্রয়সহ মাঠে মাটি কাটা, গাড়ি মেরামত বাবদই প্রায় পাঁচ লাখ টাকার অনিয়ম করেছেন। এছাড়া বগুড়া নার্সিং কলেজে নিম্নমানের রাস্তা ও ওয়াল নির্মাণ বাবদ ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে কমিশন নিয়ে ৩৫ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তার অপরাপর অভিযোগ হল নার্সদের ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিংয়ের নামে প্রশিক্ষনার্থীদের নিম্নমানের কিডস সরবরাহ করেছেন তিনি। নিজ সহধর্মিনী নাজমা বেগমকে দিয়ে একটি ক্লাস করে একাধিক ক্লাস নেয়ার ভ‚য়া বিল তৈরি করে টাকা উত্তোলন করেছেন। আব্দুল আলিম নামের একজন এমএলএসএস থাকা সত্তে¡ও তার নামে কোনো বিল তৈরি না করে বাসার কাজের ছেলে শিবলুকে নিয়ে এমএলএসএস এবং আতাউর রহমান নামে আরও একটি এমএলএসএস পদ দেখিয়ে দু’জনের ভুয়া বিল তৈরি করে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন ।
নিয়ম অনুযায়ী কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অনারারি লেকচারার হিসেবে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অথচ মনজুর হোসেন ট্রেনিং কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গাবতলী পল্লী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে তিনটি ক্লাস নিয়ে অর্থ উত্তোলন করেছেন মর্মেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি ছাত্রীদের মেসের টাকা আত্মসাতসহ ১২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মার্কশিট, সার্টিফিকেটের জন্য নির্ধারিত ৭০০ টাকার পরিবর্তে ১৭০০ টাকা করে নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি কাজের লোক শিবলুকে দিয়ে অফিসের মালামাল ক্রয় বাবদ ভ‚য়া ভাউচার তৈরি করেও লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছেন। অফিসের কাজের জন্য ব্যবহৃত ৩০ সিটের গাড়ি আত্মীয় স্বজনদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কাজে কাজে ব্যবহার করেন তিনি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য বাসভবন বাধ্যতামূলক বরাদ্দ হওয়া সত্তে¡ও তিনি সরকারি বাস ভবনে না থেকে বাসা ভাড়া উত্তোলন করছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রিন্সিপাল মনজুর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। নিয়ম নীতি মেনেই প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে। কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানেরই কিছু লোক তাদেও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে এইসব অভিযোগ করেছে। আর ভুক্তভোগীরা অভিযোগ গুলো সত্য কিনা তা’ তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ