আসছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ খ্যাত পরিচালকদ্বয়ের ‘চেরি’
.jpg)
মার্কিন লেখক নিকো ওয়াকার’য়ের লেখা ‘চেরি’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সিনেমা ‘চেরি’ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ২৬
সংগীতশিল্পী সালমা এখন গানের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নতুন গানে যেমন কণ্ঠ দিচ্ছেন, তেমনি সমাজসেবার কাজও করছেন। এরই মধ্যে খবর দিয়েছেন গান গাওয়ার পারিশ্রমিক তিনি কমিয়েছেন। এর কারণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তার সাথে কথা হয়।
সবাই পারিশ্রমিক বাড়ায় আপনি কমিয়েছেন, এর কারণ কি?
আমার পারিশ্রমিক কমানোর দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে থেকে পরিকল্পনা ছিল, বছরে অনেক গান করব। এভাবে তিন থেকে চারশ’ গান আমার হয়ে গেছে। কিন্তু এত গানের মধ্যে আমার জনপ্রিয় গান হাতে গোনা কয়েকটি। তারপরও থেমে থাকতে চাই না। অনেক গান করব। এর মধ্য থেকেই ভাল গান বের হয়ে আসবে। ভাল গান করার জন্যই পারিশ্রমিক কমিয়েছি। দ্বিতীয়ত, করোনায় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গানের অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। কেউ এই অঙ্গন ছেড়ে দিয়েছেন। একটি গানের সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন। গান কমে যাওয়ায় এ অঙ্গনের মানুষ কঠিন সময় পার করছে। তাই আমি আমার পারিশ্রমিক কমিয়ে গান সংশ্লিষ্ট মানুষের খরচের যোগান দিচ্ছি। এতে আমাদের মিউজিক কো¤পানিগুলোরও সুবিধা হবে। সীমিত বাজেটে যারা কাজ করছেন তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই বাজেট কমিয়েছি।
সাফিয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম কি?
মানবতার কথা চিন্তা করে আমরা এ ফাউন্ডেশনটি করেছি। সাফিয়া আমার মেয়ের নাম। এটির দায়িত্বে আছেন আমার স্বামী সানাউল্লাহ নূর। উনি পেশায় একজন উকিল। আমি এটার চেয়ারম্যান। ভবিষ্যতে সারাদেশে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমরা অনেক স্বেচ্ছাসেবক নেব। পুরো বাংলাদেশেই কাজ করার ইচ্ছা আমাদের। যতটুকু পারি তা দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সাফিয়া ফাউন্ডেশন আমাদের স্বস্তির একটি জায়গা।
পার্ক নির্মাণ করার কারণ কি?
এটি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অনেকে বলছে, আমি রিসোর্ট করছি। আসলে তা না, আমি পার্ক বানাচ্ছি। নাম দিয়েছি ইউরোপিয়ান পার্ক। ইউরোপ স্টাইলে পার্কটি করার চেষ্টা করছি। ছয়-সাত মাস আগে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ময়মনসিংগের হালুয়া ঘাটের ওইদিকে বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। এ চিন্তা করেই আমরা পার্কটি করেছি। রিসোর্ট করার পরিকল্পনা এখন নেই। সেটি পরে হলেও হতে পারে।
মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি কাটিয়ে উঠা কি সম্ভব?
এটি অসম্ভব ব্যাপার। আমরা কেউ কিন্তু জানতাম না এরকম একটা বাজে অবস্থায় পড়ব। শিল্পী, মিউজিয়ানদের অবস্থা অনেক খারাপ। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সহায়তা পাইনি। আর পাওয়ার আশা করছি না। আমাদের শো নাই, প্রোগ্রাম নাই। দেশে সবকিছু চলছে, অথচ গানের সেক্টরটা অচল হয়ে পড়ে আছে। আমার মনে হয়, এদিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত।
গানের ব্যস্ততা কেমন?
প্রতিনিয়ত গান করছি। অনেক গান করলে সেখান থেকে ভাল গান বের হয়ে আসবে। গানের সঙ্গে জড়িতরাও ব্যস্ত হবেন। সম্প্রতি লতা মঙ্গেশকরের একটি গান করেছি। পার্থ দা ছিলেন সঙ্গীতায়োজনে। তার আগে কাজলের সঙ্গীতায়োজনে তিনটি নতুন গান করেছি। এ গানগুলোতে নতুন অনেকে আমার সঙ্গে ভয়েস দিয়েছে। চেষ্টা করছি, যারা কাজ করতে চায় তাদের নিয়ে কিছু করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।