Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত স্কুল খোলার পক্ষে

‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১ সমীক্ষা’ প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাখাত। দীর্ঘ ১০ মাস থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায়। অর্থাৎ তারা স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে। আর ৭৬ শতাংশ অভিভাবক ও ৭৩ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে। তবে ৫৮ শতাংশ শিক্ষক ও ৫২ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে বলেছেন। শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযানের ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১ সমীক্ষার অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন’ এ এই তথ্য উঠে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমে করোনার সংক্রমণ নেই বা একেবারে কম থাকা গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলো খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এরপর মার্চ থেকে বড় বড় শহরের স্কুলগুলো খোলার সুপারিশ করা হয়েছে।

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি আছে। গতকাল মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার এই তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। দেশের ৮টি বিভাগের ৮টি জেলার ২১ উপজেলা নির্বাচন করে নির্ধারিত সূচকের ভিত্তিতে নমুনা নির্বাচন করে গবেষণাটি করা হয়েছে। সমীক্ষায় মোট ২ হাজার ৯৯২ জন উত্তরদাতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী (ছেলে ও মেয়ে সমসংখ্যক), ৫৭৮ জন শিক্ষক, ৫৭৬ জন অভিভাবক রয়েছেন। অন্যরা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, দূরশিক্ষণের (সংসদ টিভি, অনলাইন, রেডিও ও মোবাইল) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল কম। ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বাকি ৬৯ দশমিক ৫ শতাংশ অংশ নেয়নি।

সমীক্ষার তথ্য বলছে, ৬২ শতাংশের বেশি শিক্ষক মনে করেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করা দরকার।

করোনার প্রভাবে ঝরে পড়া, অনুপস্থিতি, বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বাড়বে। বিদ্যালয় খোলার পর বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, সে বিষয়েও মতামত এসেছে। বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, আসনবিন্যাস পরিবর্তন করে এক বেঞ্চে দু’জন করে বসানো, পালা করে বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস নেয়ার বিষয়ে মতামত এসেছে।

ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদাকে চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি ও সক্ষমতা বিবেচনা করে বিদ্যালয় খুলতে হবে। ব্র্যাকের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও এডুকেশন ওয়াচের প্রধান গবেষক মনজুর আহমদ বলেন, প্রথমে গ্রাম এলাকায় এবং পরে মার্চে বড় শহরের স্কুলগুলো খুলতে হবে। এ জন্য ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য ও অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য ও প্রবীণ শিক্ষকনেতা কাজী ফারুক আহমেদ, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য মোহাম্মদ মোহসীন প্রমুখ।



 

Show all comments
  • রুহান ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 0
    আমিও স্কুল খোলার পক্ষে
    Total Reply(0) Reply
  • Md abu sayed ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
    অবশ্যই খুলে দেওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Md abu sayed ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
    অবশ্যই খুলে দেওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Md abu sayed ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
    অবশ্যই খুলে দেওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ