Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুবিতে নিম্নমান ডরমেটরি ব্যবস্থাপনায় থাকছেন শিক্ষকরা

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:২৩ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) স্বল্প পরিসরের ৫ তলা বিশিষ্ট দুইটি ডরমেটরিতে ২৫২ জন শিক্ষক ও ৯৩ জন কর্মকর্তা মধ্যে মাত্র ২৮ জন শিক্ষক পাচ্ছেন আবাসন সুবিধা। শিক্ষক কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে থাকলেও এর সীমাাবন্ধতার শেষ নেই। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সুপেয় পানির অভাব, দুর্বল ইনটারনেট ব্যবস্থা, শেওলা পড়া পুরানো মোজাইকের ফ্লোরসহ নি¤œমান ডরমেটরি ব্যবস্থাপনায় মধ্যে দিয়ে শাচনীয় জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। এই অব্যস্থাপনা নিয়ে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় শিক্ষক কর্মকর্তাদের।
জানাযায়, প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পার করলেও শিক্ষকদের জন্য নেই কোন স্বতন্ত্র আবাসন ব্যবস্থা। বর্তমানে বিশ^বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষকের অনুপাতে মাত্র ১১ শতাংশ থাকছেন দুইটি ডরমেটরিতে। শিক্ষক কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে থাকলেও এর সীমাাবন্ধতার শেষ নেই। ভবন দুটির বহিরাংশের রং বিবর্ণ হয়ে গেছে এবং অনেক জায়গায় রং খসে পড়ে গেছে। আবাসিক ভবনে যেসমস্ত প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থাকার প্রয়োজন তার অধিকাংশই অনুপস্থিত শিক্ষকদের এ ডরমেটরি দু’টোতে। পরিচ্ছন্নকর্মীর অভাব, অপরিচ্ছন্ন পারিবেশ, ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অধিকাংশ রুমে ত্রুটিপূণ বৈদ্যুতিক পয়েন্ট, সুপেয় পানির অভাব, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সাপসহ নানা কীট পতঙ্গের উৎপাত, স্যাঁতসেঁতে ফ্লোরসহ নানা অপ্রতুলতা নিয়ে ডরমেটরিতে কষ্টকর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। করোনা মহমারীর কারনে শিক্ষাব্যবস্থা অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ায় ক্লাস পরীক্ষা অনলাইনে নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। কিন্তু ডরমেটরিতে সরবারহকৃত ইন্টারনেট ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ক্লাস নেয়ার সময় বিপাকে পড়তে হয় তাদের। এদিকে কর্তৃত্বের সুবাধে কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের ফ্ল্যাট টাইল্স করে নিলেও শিক্ষকদের ফ্ল্যাটগুলো শেওলা পড়া পুরানো মোজাইক অবস্থাতেই রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ভবন দু’টির সামনে একটি সিসি টিভি ক্যামরা বসানো হলেও তাও নষ্ট হয়ে আছে বলে জানা যায়। এদিকে বাসভবন না থাকায় বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামানও এ ডরমেটরিতে বসবাস করছেন। এক শিক্ষক বলেন অপ্রতুল এ পরিবেশে ট্রেজারারের বসবাস করা বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। ডরমেটরিতে বসবাস করা এক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটা আবাসস্থলে নূন্যতম যে সকল সুযোগ সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার কোনোটিই এখানে নেই। পাহাড়সম সংকট নিয়ে ডরমেটরিগুলোতে আমরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ শামিমুর ইসলাম বলেন, এটা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং ভবনগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে এটা সত্য। প্রশাসনকে জানানোর পর তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

শিক্ষকদের এমন নি¤œমানের জীবনযাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী জানান, বড় অংকের টাকা বারাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবং খুব দ্রত এসব সমস্যা সমাধান হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ