Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাশেম হত্যা মামলায় আদালতে যা বললেন এলু, পরবর্তী তারিখ ৫ মার্চ

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:১৩ পিএম

জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ট্রাইব্যুনালের জজ আজ মঙ্গলবার কার্যদিবসের প্রথমেই জাপা নেতা শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। তার পূর্বে আসামী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস কাঠগড়ায় অবস্থান নেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান স্বাক্ষী ম্যাজিষ্ট্রেট সগীর আহমেদ চোখে অপারেশন হওয়ায় তিনি স্বাক্ষ্য দিতে আসতে পারেননি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ মার্চ। আসামী আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস ছাড়া অন্যান্য আসামীরা অনুপস্থিত ছিল।

আসামী পক্ষে এডভোকেট এস এম মঞ্জুরুল আলম, পারভেজ আলম খান, তৌহিদুর রহমান তুষার, মামুন মোরশেদ মুন্না প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র পক্ষের পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গনে উৎসুক জনতার ভীড় ছিল।
নিহত আবুল কাশেমের ভাইপো শেখ মনিরুজ্জামান এলু আদালতের অনুমতি নিয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম মামলা থেকে নাম বাদ যাওয়া, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য দেন। বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা বিরোধিতা করলেও আদালত গুরুত্বের সঙ্গে এলুর বক্তব্য শুনেন। এলু জানান, প্রভাবশালী এই ব্যক্তির নাম চার্জশীটে থাকা সত্তে¡ও রাজনৈতিক বিবেচনায় তিনি ক্ষমতা খাটিয়ে তার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
অশ্রæসজল নয়নে আদালতকে এলু জানান, কাশেম চাচা খুন হলে আমরা তার নামে কোনও মামলা করিনি। তার নামে কোনও ওয়ারেন্টও ছিল না অথচ তিনি রাতের আঁধারে খুলনা থেকে পালিয়ে চলে যান। দেড় থেকে দুই বছর তিনি খুলনাতেই আসেন নি।
এলু জানান, তিনি রাজনীতি করেন, মানী ব্যক্তি, এই শহরের শীর্ষ ধনী অথচ বড় ধরনের কোনও খুন হলেই তার নাম আসে, আমাদের এই মামলাতেও ১৬৪ ধারায় জবানীর মধ্য দিয়ে চার জন সাক্ষী তার নাম বলেছে। এলুর আবেদনের প্রেক্ষিতে এলু, তার পরিবার ও আইনজীবীদের নিরাপত্তা গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেএমপিকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানান।
১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুরে খুলনা সদর থানার অদূরে স্যার ইকবাল রোডে বেসিক ব্যাংকের সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিখাইল মারা যান। খুলনা থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে মামলাটি তদন্তর দায়িত্ব পড়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ওপর। তারা দীর্ঘ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে আসামী করা হয়, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম (মৃত), তরিকুল হুদা টপি, আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু (নিহত), ওসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান, মিল্টন ও তারেক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ