Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লিবিয়া থেকে সকল বিদেশী শক্তি প্রত্যাহারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:৪৭ পিএম

জাতিসংঘের অস্ত্রবিরতি চুক্তি অনুযায়ী বেঁধে দেয়া সময়সীমা মেনে লিবিয়া থেকে দ্রুত রুশ ও তুর্কি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ আহ্বান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন প্রশাসনের আওতায় তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ার ব্যাপারে মার্কিন নীতির একটি শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলাকালে লিবিয়ার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস বলেন, ‘আমরা লিবিয়ান সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে এবং লিবিয়ায় সকল সামরিক হস্তক্ষেপ দ্রুত বন্ধে রাশিয়া, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিদেশী সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় ছয় বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। তুরস্কের সমর্থনও এই সরকারের প্রতি। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব ও ফ্রান্স। রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে অভিযান জোরালো করে হাফতার বাহিনী। এক পর্যায়ে ত্রিপোলীর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সহায়তায় তুরস্ক এগিয়ে এলে পিছু হটে হাফতার বাহিনী।
এক পর্যায়ে বিদেশি সেনা ও বাইরের দেশের ভাড়াটে সেনাদের তিন মাসের মধ্যে লিবিয়া থেকে প্রত্যাহারে একটি প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘ। গত শনিবার এই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হয়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তুর্কি ও রুশ বাহিনীকে লিবিয়া ছাড়ার আহ্বান জানালো যুক্তরাষ্ট্র।

মিলস বলেন, ‘অক্টোবরের অস্ত্রবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, ‘আমরা লিবিয়া থেকে দ্রুত তুর্কি ও রুশ বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণে তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ তবে রাশিয়া লিবিয়ায় তাদের কোনো সামরিক সদস্য থাকার কথা অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘের হিসাবে, লিবিয়ায় ২০ হাজার বিদেশি সেনা ও ভাড়াটে যোদ্ধা অবস্থান করছে। সূত্র : রয়টার্স, সিএনএন



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ