Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরের ঐতিহ্য

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

খেজুরগাছ আর খেজুরের রসের সাথে শীতের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। শীতকালে খেজুরগাছ থেকে পাওয়া যায় সুমিষ্ট রস, গুড়। ফল হিসেবেও খেজুরের জুড়ি নেই। শীতের মিষ্টিরোদে খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ি খেতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু কালের আবর্তে দুঃখজনকভাবে চিরচেনা এ ঐতিহ্য আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। অতি উপকারী এবং শীতের প্রতীক এ খেজুরগাছের যত্ন এখন আর কেউ নিতে চায় না, ফলে অনেক স্থানে ঝোপঝাড়ে আচ্ছন্ন হয়ে বুনোগাছের মতো পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কোথাও বা ইটভাটার উৎকৃষ্ট জ্বালানির স্বীকৃতি পাচ্ছে মূল্যবান এ গাছ। শীতকালে গাছিরা আর যায় না তার কাছে। দা-কাচি, একগাছি রশি, একদন্ড বাঁশ ও কোমড়ে ঝুলানো লম্বা-গোল আকৃতির বিশেষ পাত্র (ঠুঙ্গি) নিয়ে গাছে উঠতেও দেখা যায় না কাউকে। কিছুদিন পূর্বেও হেমন্তের আগমনের সাথেসাথে গাছ কাটার প্রাথমিক কাজ সারার হিরিক পড়ত। গায়ের পথে-ঘাটে, নদী বা পুকুরপাড়ে, বড় রাস্তার দু’ধারে বা ক্ষেতের আলঘেঁষে শতশত গাছের শীর্ষভাগ বিশেষভাবে কাটত গাছিরা। ১৫/১৬টি পাতা রেখে গাছের উপরিভাগের বাকলসহ অপ্রয়োজনীয় অংশ পরিষ্কার করত। বর্তমানে যশোহরসহ দেশের সব জায়গা থেকেই খেজুরগাছ বিলীন হতে চলেছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে কৃষকদেরও। তাদের উচিত হবে, গাছিদের মজুরি বা প্রাপ্তি বাড়িয়ে দেয়া। খেজুরগাছ থেকে উৎপাদিত রস ও গুড়ের উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে। বনবিভাগ স্বল্প ব্যয়ে রাস্তার পাশে বা ডিভাইডারে বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাজার-হাজার খেজুরগাছ রোপণ করতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণ এবং রস আহরণের জন্য স্থায়ীভাবে গাছি নিয়োগ দিতে পারে তারা। এতে রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং সুযোগ সৃষ্টি হবে অনেক দরিদ্র গাছির কর্মসংস্থানেরও।

মাহতাব উদ্দিন
প্রধান শিক্ষক, প্রাইম স্টার একাডেমি শ্রীপুর, গাজীপুর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন