ক্যাসিনোকান্ডে সংশ্লিষ্ট ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র,কমিটি এবং অডিট রিপোর্ট চেয়েছেন হাইকোর্ট। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদ জয় গোপাল সরকারের ৬টি মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দীন শামীমের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জয় গোপাল সরকারের পক্ষে শুনানি করেন মো. কামরুল ইসলাম এবং মুনমুন নাহার। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)র পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ক্যাসিনোকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারের৬ মামলার ৬টি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীর কাছে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র, কমিটি ও অডিট রিপোর্ট চেয়েছেন। মঙ্গলবারের মধ্যে এসব রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে হবে। আজ (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত: জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন। তার হাত ধরেই গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত হওয়ার কথা জানায় সিআইডি। গত বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রূপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়ার আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে আসে।

সিআইডি তাকে গত বছর ১৩ জুলাই লালবাগ থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।