পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাগেরহাটে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেছেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সরকারই ভ্রান্ত বক্তব্য দিচ্ছে। সুন্দরবন রক্ষা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব। অন্য বক্তারা বলছেন, সারা পৃথিবী থেকেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উঠে যাচ্ছে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধী না তারা। কেবল রামপাল কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি আছে তাদের। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের কী কী ক্ষতি হবে এবং কীভাবে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে তা তুলে ধরা হয়। সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেন, রামপাল কেন্দ্র নিয়ে কিছু কিছু ব্যক্তি ভ্রান্তি ও একপেশে বক্তব্য দিয়ে এই প্রকল্পকে লাভজনক দেখাতে চাইছে। কিন্তু বরেণ্য অর্থনীতিবিদরা এই প্রকল্পকে নেতিবাচক বলছেন। তিনি আরো বলেন, সরকার যত কিছুই বলুক না কেন, রামপাল নিয়ে তাদের বক্তব্য যুক্তি ও জ্ঞাননির্ভর নয়। সরকারই বরঞ্চ ভ্রান্ত বক্তব্য দিচ্ছে। অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, রামপাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করছে। আমরা ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে আছি। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হবে। পরিবেশের বিপর্যয় শুধু ঘটবে না; পাশাপাশি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। পশুর নদী দিয়ে কয়লা আসলে নদী ড্রেজিং করতে হবে সেখানে খরচ হবে। জাতীয় কমিটির সদস্য শরিফ জামিল বলেন, চীন ২০১৮ সালের মধ্যে তাদের নির্মাণ করা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রও ১০ বছরের মধ্যে একই কাজ করবে। ভারতের স্বার্থে যারা রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন, তাদের উচিত ইন্টারনেট ঘেঁটে এসব তথ্য জানা। জাতীয় কমিটির সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রামপালে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে বলে আন্দোলন করছেন না তারা। তিনি বলেন, এখানে চীন বা অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠান আসলেও আমরা আন্দোলন করতাম। আমাদের আন্দোলন সুন্দরবনকে রক্ষা করা। দেশকে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।