Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন শুধু টিকা নেয়ার ছবি

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:৩৯ পিএম

রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকাসহ সারাদেশে গণহারে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আগ্রহের সাথে টিকা গ্রহণ করেছেন।

ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকা গ্রহণের ছবি শেয়ার করছে নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন শুধু টিকা নেয়ার ছবি ভাসছে।

সোমবার নিজে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের পর ফেইসবুকে ছবি শেয়ার করেন সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা। ক্যাপশনে লিখেন, ‘আমার ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পন্ন হলো। জনগণকে অত্যন্ত যত্নের সাথে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জয়বাংলা।’

মঙ্গলবার তার স্বামী পরিচালক বদরুল আনাম সৌদের ছবি দিয়ে লিখেন, ‘বদরুল আনাম সৌদ আজ তার প্রথম ডোজ ভ্যাক্সিন পেয়েছে । সে ভালো আছে। দয়া করে নিবন্ধন করুন এবং যত শীঘ্র সম্ভব আপনার টিকা নিন।’

টিকা গ্রহণের ছবি পোস্ট করে সাবেক এমপি ও হাজারিকা প্রতিদিনের সম্পাদক জয়নাল হাজারী লিখেন, ‘আজ বেলা ১টায় সোরওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নিলাম। সবাই দোয়া করবেন।’

পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং বর্তমান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর প্রধান মনিরুল ইসলামও ছবি পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘প্রথম দিন থেকেই ফ্রন্টলাইনার হিসেবে মাঠে ছিলাম, এখন পর্যন্ত সুস্থই আছি। ভ্যাকসিন আসবেই জানতাম এবং একাধিক বার ফেসবুকে আশাবাদের কথা বলেছি। পৃথিবীর দুই শতাধিক দেশ এখনও ভ্যাকসিন আনতে পারে নি। সৌভাগ্যবান হিসেবে আজ ভ্যাকসিন নিলাম। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যাঁদের প্রচেষ্টায় এত দ্রুত বাংলাদেশে ভ্যাকসিন এসেছে। অপরিসীম কৃতজ্ঞতা, ড. সারাহ গিলবার্ট (হিন্দু না ...মুসলিম এই জিজ্ঞাসে কোন জন...) যিনি এই ভ্যাকসিন মানবজাতিকে উপহার দিয়েছেন।’

ছবি পোস্টের পাশাপাশি টিকা গ্রহণের পরবর্তী অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘গতকাল করোনা টিকা নেয়ার পর থেকে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে ক্রমাগত যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি তা হল, টিকা নেয়ার পর কেমন আছি? টিকা নেব না বলার পরও কেন সবার আগে টিকা নিলাম ইত্যাদি। তাই সবার উদ্দেশ্যে একটি জবাব দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি: প্রথমেই বলে নেই, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট পড়ে অস্ট্রাজেনিকার টিকা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এবং সেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলামও। কিন্তু দু'একদিন আগে একটি রিপোর্টে দেখতে পাই আমাদের মত ক্রিটিক্যাল বা মারাত্মক লেভেলের করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সফোর্ডের এই টিকার সফলতার হার মৃদু আক্রান্ত বা অনাক্রান্তদের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি, তখন বিষয়টা বিবেচনা করা শুরু করলাম। গত পরশু রাতে টিকা গ্রহণকারী বড় ভাই তুল্য ঢাকা মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের কাছে তার টিকা গ্রহণের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলাম। তিনি তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আমাকে দ্রুত টিকা গ্রহণের পরামর্শ দিলেন। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে রেজিস্টেশন করি এবং শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মনসুর আহমেদ এর সহযোগিতায় দ্রুত সিরিয়াল পেয়ে যাই এবং পরদিন টিকা গ্রহণ করি। টিকা নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, টিকা গ্রহণের সময় আমার স্বাভাবিক ইনজেকশন এর চেয়ে একটু বেশি ব্যথা অনুভব হয়েছে। এছাড়া আর কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। টিকা গ্রহণের পর বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন ঘন্টার অধিক ছিলাম, আমার কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়নি। তবে বিকেলের দিকে হালকা মাথা ব্যথা হয়েছিল, কিন্তু এর সাথে টিকার কোন সম্পর্ক ছিল কিনা আমি নিশ্চিত নই। টিকা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ। এখন অক্সফোর্ড এর এই টিকা কতটা সুরক্ষা দিতে সক্ষম তা দেখতে অপেক্ষার পালা শুরু। তাই আমি সবাইকে বলব, আপনারা টিকা গ্রহণ করুন। যেহেতু টিকার স্বল্পতা রয়েছে, তাই দ্রুত গ্রহণ করুন। বাংলাদেশ থেকে 'ভ্যাকসিন নির্মূল করতে' সহায়তা করুন! একইসাথে মুফতি কাজী ইব্রাহিম কে জানাতে চাই আমার টিকা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পরও আমি পুরুষ থেকে মহিলা হয়ে যাইনি, আমার শরীরে কোন মাইক্রোচিপ স্থাপিত করা হয়নি। আশাকরি আপনার বয়ান সংশোধন করবেন এবং যে বিষয়ে আপনি শতভাগ নিশ্চিত নন বা বিশেষজ্ঞ নন, সে বিষয়ে বয়ান করার আগে আর একটু সতর্ক হবেন।’

বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জের প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ফাইজুর রহমান টিকা দেয়া ছবি শেয়ার করে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, কোভিট-১৯ প্রথম ডোজ টিকা নিলাম। আল্লাহ যেন হেফাজতে রাখেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ