Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেতৃত্ব শূন্যতায় হতাশ কর্মীরা-নিষ্প্রাণ ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রম

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৫৮ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় যোগ্য নেতৃত্বের অভাব-অভ্যন্তরীণ কোন্দল-দ্বন্দ্বের সঙ্গে সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তায় নিষ্প্রাণ দেশের আলোচিত ইসলামিক রাজনৈতিক দল"ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ"থানা ও ইউনিয়ন কমিটিতে দক্ষ নেতৃত্বের সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে।রামগতি-কমলনগরে দলটির আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর ব্যাপক ভক্ত-মুরিদ ও দলের বিশাল কর্মী-সমর্থক থাকলেও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে দিন-দিন আলোচিত এই ইসলামী দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে।নামে মাত্র একটি থানা কমিটি থাকলেও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি তো দুরের কথা আহবায়ক কমিটিও নেই।সহযোগী সংগঠন গুলোর অবস্থা আরো নাজুক। রামগতি-কমলনগর উপজেলায় দলটির কোন সাংগঠনিক কার্মকান্ড দেখা যায়না।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী যুব আন্দোলন,ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন,ইসলামী আইনজীবী পরিষদ,জাতীয় শিক্ষক ফোরাম,ইসলামী মুক্তিযোদ্বা পরিষদ ও ওলামা মাশায়েখ পরিষদ নামে কয়কটি সহযোগী সংগঠন থাকলে এই দুই উপজেলায় নেই এগুলোর কোন কমিটি।হাতপাখার কয়েকজন ভোটারদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন,চরমোনাইর পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশে একটি আলোচিত ইসলামী দল।অন্যান্য জায়গার তুলনায় রামগতি-কমলনগরে দলটির বেশ কর্মী-সমর্থক থাকলেও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এই দুই উপজেলায় সাংগঠনটি হ য ব র ল অবস্থা বিরাজ করছে।দুই উপজেলায় বিপুল সংখ্যক আলেম ওলামা,ইমাম-মোয়াজ্জিন-মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও চরমোনাইর পীরের ব্যাপক মুরিদ শুভানুধ্যায়ী থাকতে দলটির এমন করুন অবস্থা সৃষ্টিতে তারা চরম হতাশাগ্রস্ত।ইসলামী আন্দোলনের কয়েকজন অনুসারী হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন,যারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে কারো যোগাযোগ নেই।এরা কর্মী ও ভোটারদের মনের ভাষা বুঝার চেষ্টা করেনা।ইসলাম-দেশ-মানবতা ও দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বাস্তবমুখী অবস্থার উপর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা থাকলেও রামগতি-কমলনগর উপজেলায় সেই ধরণের কিছুই তারা করতে পারেনি।সহযোগী সংগঠনগুলোর অবস্থা লেজেগোবরে। ঠিকমত কমিটিগুলোও নেই দলটির।কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলোও ঠিকমত পালন হয়না এ দুই উপজেলায়।উপজেলা প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মিডিয়া সংগঠন গুলোর সাথে নেই তাদের কোন সম্পর্ক।রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করে রাজপথে কোন ধরনের কর্মসূচি পালন করতে পারেনি সংগঠনটি।এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আছে চরম হতাশায়।দুর্বল নেতৃত্বের কারণে সাধারণ কর্মী সমর্থক ও দলটির অনুসারীরা সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।নেতৃত্ব শূন্যতার অভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ার পাশাপাশি দিন দিন দলটির জনশক্তিতে বাটা পড়তে শুরু করেছে।অযোগ্য ও অদক্ষ নেতৃত্বের কারনে রামগতি-কমলনগর উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রম বেশ নিষ্ক্রিয়।এই অযোগ্য কমিটি দিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত সাংগঠনিক অবস্থান নেই দলটির।সম্প্রতি রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মাওলানা আব্দুর রহিম নামের একজনকে মেয়র প্রার্থী দিলেও তার চেহারাটুকুও দেখেনি রামগতি পৌরবাসী।রামগতি উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বেশ কিছু কর্মী সমর্থক থাকলেও নেতৃত্ব দেওয়ার মত কোন যোগ্য কমিটি না থাকায় নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছেন তারা। থানা ও ইউনিয়ন কমিটির পদধারী নেতারাই এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াই সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতার দেখা দিয়েছে।নেতৃত্বের অভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে।এর প্রভাব পড়েছে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে একেবারে তৃনমুল পর্যায়ে।কমলনগর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও রামগতি উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার একটিতেও পূর্নাঙ্গ কমিটি নেই।নেই দলের মধ্যে চেইন অব কমান্ড।সব মিলিয়ে নেতৃত্ব শূন্যতায় হতাশ কর্মীরা-নিষ্প্রাণ ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রম। এইসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে রামগতি-কমলনগর উপজেলায় দলটির দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।



 

Show all comments
  • আবু জাফর ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪৬ এএম says : 0
    কোন পর্যালোচনার ভিওিতে এই রিপোর্ট করলেন?
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মদ সারোয়ার হোসেন ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৫৯ এএম says : 0
    যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে দলটি ব্যার্থ হলে তাদের রাজনৈতিক শাখা বিলিন হবে। রিপোটার বেশি তারা হুড়া করেছে আরো সুন্দর করে শাখা সভাপতির বক্তব্য নেয়ার দরকার ছিল কেন তাদের কাজ হচ্ছেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • এইচ.এম.আল-আমিন ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:৩৩ এএম says : 0
    বিষয়টি একে বারে এমনও নয়। সাংবাদিক সাহেব উনি ওনার মনগড়া একটি নিউজ করেছে! উনি বলছেন মেয়র আব্দুর রহিম তার মুখখানা কেউ দেখেনি, সেই ক্ষেত্রে আমি বলবোো সংবাদিক সাহেব হয়তো আব্দুর রহিম ভাইকে দেখেননি বা খোজ খবর রাখেননি। আব্দুর রহিম ভাই রামগতিতে অনেকবার হোন্ডা শোডাউন করেছেন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটের জন্য যাচ্ছে। রামগতি-কমলনগরে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বে মেঘনা নদীর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য অনেক ভাবে চেষ্টা করেছেন। এবং করোনাকালীন সময় বন্যার সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে ইসলামী আন্দোলনের কমলনগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ রয়েছে, রামগতিও কমিটি পূর্ণাঙ্গ রয়েছে। এমনকি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি হয়েছে। সাংবাদিক সাহেব ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ না করেই এমন একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে এজন্য সাংবাদিক-সাহেেব অবশ্যই ইসলামী আন্দোলনের কমলনগর রামগতি উপজেলার নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ابو مبرور ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০২ পিএম says : 0
    যখনি অন্যান্য জাগতিক সংগঠন ছেড়ে বিশিষ্টজনরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ যোগদান করছেন তখনি এই হলুদ সাংবাদিক মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন রিপোর্ট করেছেন। প্রকাশ্যে এই হলুদ সাংবাদিককে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:১৭ পিএম says : 0
    খবরটি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ কে শখাগুলো তদারকি করার অনুরোধ করছি।।। সাংবাদিক কে ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ