Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আগামী দুই বছরে আইসিটিতে কর্মসংস্থান হবে সাত লাখ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:২৮ পিএম

আগামী দুই বছরে বিশ্ব আইসিটি ক্ষেত্রে সাত লাখেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আর দশ বছরের মধ্যে এই খাতের ব্যাপক স¤প্রসারণের ফলে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় সাত কোটি পেশাদার আইসিটি কর্মীর ঘাটতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ আইসিটি শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ব পেশাবাজারে নিজেদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জায়গা করে নিতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এক হয়ে বিশেষ আইসিটি একাডেমি পরিচালনা করতে চায় হুয়াওয়ে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম আইসিটি একাডেমি স্থাপন করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে ও বুয়েট। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুয়েট কাউন্সিল ভবনে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রæপের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিনঝিজুন এবং বুয়েটের ভিসি ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংইয়াও। আরো উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ।

চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে বুয়েট একাডেমিক ভবনে তৈরি হবে এই বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার যেখানে কারিগরি প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ নিশ্চিত করা হবে। সাথে থাকবে কানেক্টিভিটি যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের ১ হাজার ২০০ এরও বেশি প্রশিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পাবেন বুয়েটের শিক্ষার্থীগণ। ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে এখানে। আর এই কোর্স এবং সার্টিফিকেশন সমন্বয় করবে হুয়াওয়ে অথরাইজড ইনফরমেশন এন্ড নেটওয়ার্ক একাডেমী (এইচএআইএনএ) যা মুলত: এই হুয়াওয়ে- বুয়েট আইসিটি একাডেমি ।

এই আইসিটি একাডেমি থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের কৃতিত্বের ওপর ভিত্তি করে তিন ধরণের গ্রেড যেমন অ্যাসোসিয়েট, প্রফেশনাল ও এক্সপার্ট; সার্টিফিকেট পাবেন। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে পারবেন এবং সবশেষে তাদের জন্য জব ফেয়ারেরও আয়োজন করা হবে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যে কোন দেশের অগ্রগতির জন্য শিক্ষা, বিশেষত: আইসিটি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা বেশ অনেকদিন থেকেই বিশ্বে আমাদের নাম উজ্জ্বল করে চলেছে। কিন্তু এখনও অনেক দূর যেতে হবে আমাদের।

সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আসন্ন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমির মত একটি প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে আমাদেরকে বিপুল চালিকাশক্তি জোগাবে।

তাও গুয়াংইয়াও বলেন, তরুণদের কর্মদক্ষতার উন্নয়ন না ঘটলে একটি দেশ উপকৃত হতে পারে না। উন্মুক্ত বৈশ্বিক শিক্ষার সুযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক প্রয়োজন। এই সুযোগ তাঁদের চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে অনেক গুণ। আইসিটি ক্ষেত্র যখন প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন আবিস্কার নিয়ে আবির্ভাব হচ্ছে তখন এর সাথে আরও এক হয়ে সমাজের জন্য নতুন উপযোগিতা তৈরি করতে হবে।

সারা বিশ্বে এরকম ৯০০টিরও বেশি আই সিটি একাডেমী স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে হুয়াওয়ের এবং প্রতি বছর এই একাডেমিগুলো থেকে ৪৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বের হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুয়েট থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী এই ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করবে। এই পর্যন্ত পাকিস্তান, জাম্বিয়া ও চীনসহ আরও বেশ কিছু দেশে এই একাডেমি কার্যক্রম শুরু করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কর্মসংস্থান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ