Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজশাহীতে মৃতের লাশ নিয়ে বাঁধা, চাঁদা দাবি, দালালসহ আটক-৭

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:১৯ এএম

রাজশাহী মহানগরীতে নিজেদের আনা অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে যেতে স্বজনদের বাধা ও ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় স্থানীয় দালাল ও চাঁদাবাজসহ ৭ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এরা মৃতের স্বজনদের নিজেদের এম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে যেতে বাধ্য করছিলো আর না গেলে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসব দালাল চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। এনিয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিনের অভিযোগ থাকলেও দালাল ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। সম্প্রতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দালাল ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও রোগীর লোকজন এ অভিযান কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৪র্থ তলায় সিডিএম হসপিটালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। সেই মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে লাশটি নিজ বাড়ী মেহেরপুর জেলায় নেওয়ার জন্য নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর সময় লাশ বহনকারী গাড়ীর স্থানীয় চাঁদাবাজ ও দালাল চক্রের সদস্য রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর প্যারামেডিকেল রোডের মৃত মোসলেম খানের ছেলে আব্দুল্লাহ(৩২) ও দাসপুকুর বৌবাজার মসজিদের পার্শ্বের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে রাজন (৩৫) লাশের আত্মীয় স্বজনদের বাধা দেয়।
এরপর বলে এখান থেকে কোন লাশ নিজ এলাকায় নিয়ে যেতে হলে আমাদের রাজশাহীর এ্যাম্বুলেন্স যোগেই নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় নিজেস্ব এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে চাইলে আমাদের স্থানীয় লাশ বহনকারী মাইক্রো সমিতিকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে।
লাশের আত্মীয়-স্বজনরা মহানগর গোয়েন্দা শাখায় সংবাদ দিলে ঘটনার পরপরই সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রাকিবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ডিবির একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ওই দুই চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রামেক হাসপাতাল ও বে-সরকারী হাসপাতাল এবং ক্লিনিক হতে লাশ বহনকারী গাড়ীর সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও দালাল চক্রের অপর সদস্য বাদশা (৪০), এমদাদুল হক (৪০), বিপ্লব (৫০), জাহিদ হাসান (২৬) ও জানারুল ইসলাম (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



 

Show all comments
  • Jack+Ali ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩২ এএম says : 0
    Why we liberated our country??? every where every moment is crime committed by general people, government, government supporter, O'Allah we need peace and security as such appoint a Muslim Leader who will rule by The Qur'an we will be able to live in our Sacred Mother Land in peace, security with human dignity and there will be no more poor people.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ