Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তিনদিনের ছুটির সুবাদে বরিশাল ঢাকা আকাশ পথে ৯ হাজার টাকায় টিকেট বিক্রী করল বেসররকারী এয়ারলাইন্স সড়ক ও নৌপথেও ভোগান্তি ছিল চরমে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:৪৬ পিএম

সপ্তাহিক দুদিন ছুটির সাথে রোববার মাতৃভাষা ও শহিদ দিবসের বন্ধের সুযোগে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীর যাত্রী চলাচল অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার এবার চরম দূর্ভেগের শিকার হন সড়ক, নৌ ও আকাশ পথের যাত্রীরা। বেশীরভাগ পরিবহন পরিবহন ব্যবসায়ীরাই এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠলেও তা প্রতিকারে প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ ছিলনা। এমনকি রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থার উড়ান বন্ধের সুবাদে বরিশালÑঢাকা মাত্র ৬৭ এ্যরোনটিক্যল মাইল দুরত্বে বেসরকারী দুটি এয়ারলাইন্স তিনগুন ভাড়ায়ও যাত্রী পরিবহন করেছে ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ২২ ফ্রেব্রুয়ারী পর্যন্ত।

শুক্র ও শণিবারের সাথে রোববার ভাষা শহিদ দিবসের ছুটির কারনে ঢাকা প্রবাসি অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এসেছিলেন নাড়ীর টানে। অনেকেই আবার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এসেছিলেন অবকাশ যাপনে। কিন্তু ঢাকা থেকে বরিশাল,পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর,বরগুনা ও ঝালকাঠীমুখি শতাধীক নৌযানে এ কয়দিন ধারন ক্ষমতার দিবগুনেরও বেশী যাত্রী পরিবহন করেও ভীড় সামাল দেয়া যায়নি। এমনকি এসব নৌযানের প্রায় ১২ হাজার কক্ষের একটি টিকেট পাওয়াও ছিল ভাগ্যের ব্যাপার । বিশেষকরে এসব নৌযানে যে সিমিত সংখ্যক ভিআইপি কক্ষ রয়েছে তা ৪ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রী হয়েগেছে আরো ১৫ দিন আগে। ফলে একটি কেবিন টিকেটের জন্য যাত্রীদের হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়েছে এক নৌযানের অফিস থেকে আরেক অফিসে। কিছু কিছু নৌযানের টিকেট কালো বাজারে বিক্রীরও অভিযোগ ওঠে।
সড়ক পথেও প্রতিদিন শতাধীক এসি-নন এসি কোচে একটি সিটের জন্য মানুষকে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। দক্ষিনাঞ্চলের সাথে রাজধানীর সড়ক পথের মাওয়া ও আরিাচা ফেরি সেক্টরে শত শত যানবাহনকে ৬ থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। তিন দিনের ছুটি কাটিয়ে অনেকেই রোববারেও ঢাকায় ফিরতে পারেন নি যানবাহনের অভাবে।
তবে সবচেয়ে রেকর্ড গড়েছে বরিশালÑঢাকা আকাশ পথের বেবসরকারী ‘ইউএসÑবাংলা’ ও ‘নভো এয়াার’ । প্রতিদিন একাধীক ফ্লাইট পরিচালনা করেও ভীড় সামাল দিতে না পারায় ৩ হাজার দুশ টাকায় কয়েকটি টিকেট বিক্রীর পরেই তা ধাপে ধাপে ৯ হাজার টাকায়ও বিক্রী করেছে তারা। ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে গতকাল (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল পর্যন্ত দুটি বেসরকারী আকাশ পরিবহনই প্রতিটি ফ্লাইটে ৯ হাজার টাকা করেও টিকেট বিক্রী করেছে বরিশালÑঢাকা আকাশ পথে।
এ রুটের যাত্রীদের অভিযোগ, সরকারের একটি মহল বেসরকারী দুটি এয়ারওয়েজকে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের লক্ষেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে বরিশাল সেক্টরে। ফলে এখন বরিশালÑঢাকা রুটের ভাড়া ঢাকাÑব্যাংককের চেয়েও বেশী, একপথে ৯ হাজার টাকা করেও আদায় করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,করোনা মহামারীর আগে ঢাকাÑব্যাংককÑঢাকা রুটে ‘থাই লায়ন এয়ারলাইন্স সাড়ে ১২ হাজার টাকায়ও যাত্রী পরিবহন করেছে।
আর করোনা সংকটের কারনে গত বছর ২৩ মার্চ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে বরিশাল,যশোর ও কক্সবাজার বাদ অন্যসবগুলো সেক্টরে তা পূণর্বহাল করা হলেও অদ্যাবধি বরিশাল,যশোর ও রাজশাহী সেক্টরে বিমান ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এমনকি আসন্ন গ্রীষ্মকালীন সময়সূচীতেও বরিশাল ও রাজশাহী সেক্টরে বিমান চলছে না। অথচ সরকারী এ আকাশ পরিবহন সংস্থাটির হাতে অভ্যন্তরীন সেক্টরসমুহের জন্য বর্তমানে ৩টি উড়জাহাজ রয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনরূপ আরো দুটি উড়জাহাজ বিমানবহরে যূক্ত হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের অভিযোগ, বিমান ফ্লাইট বন্ধের পরিপূর্ণ সুযোগ গ্রহন করছে বেসরকারী দুটি এয়ারলাইন্স। এমনকি তিন দিনের ছুটির বাইরেও গত মাসের শেষভাগ থেকে বরিশাল সেক্টরে দুটি বেসরকারী এয়ারলাইন্স যাত্রী ভাড়া ৫শ টাকা বৃদ্ধি করে ২ হাজার ৭শ থেকে ৩ হাজার ২শ টাকায় বৃদ্ধি করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ