Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৫৫ শতাংশ অভিভাবক স্কুল খোলাকে নিরাপদ মনে করেন না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৩ এএম

প্রায় ৫৫ শতাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরাপদ বোধ করছেন না। ৫০ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন, তাঁদের সন্তানেরা স্কুলে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে সক্ষম না। তবে অভিভাবক ও শিক্ষক বাদে অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ৬০ শতাংশ মানুষ স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে ৫২ শতাংশ মানুষ স্কুল খুলে দেওয়ার পর সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা বলেছেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের করা এক অনলাইন জরিপে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ‘অবশেষে স্কুল খুলছে: আমরা কতখানি প্রস্তুত?’ শীর্ষক এক ভার্চুুয়াল সংলাপে জরিপের এ তথ্য তুলে ধরে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম। মোট ১ হাজার ৯৬০ জনের ওপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে অভিভাবক ছিলেন ৫৭৬ জন এবং শিক্ষক ছিলেন ৩৭০ জন। বাকি ব্যক্তিরা অন্যান্য শ্রেণি-পেশার।

গত ১৭ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি এই অনলাইন জরিপ পরিচালনা করা হয়। সংলাপে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) যুগ্ম পরিচালক অভ্র ভট্টাচার্য।

জরিপের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, স্কুল খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার প্রণীত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সম্পর্কে তাঁরা অবগত কি না। জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তাঁরা এই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত। ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তাঁদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরাপদ বোধ করছেন না। বাকি অন্য অভিভাবকেরা ইতিবাচক মত দিয়েছেন। ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন, তাঁদের সন্তানের স্কুল স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে সক্ষম না। এ ছাড়া ৬৭ শতাংশ অভিভাবক সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ফি দিতে আগ্রহী নন।

অন্যদিকে, ৬৮ শতাংশ শিক্ষক স্কুলে যেতে নিরাপদ বোধ করছেন। সমপরিমাণ শিক্ষক মনে করেন, তাঁদের স্কুলের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রয়েছে। প্রায় ৬৯ শতাংশ শিক্ষক অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহনে সরকারি অনুদানের কথা বলেছেন। আর অভিভাবক ও শিক্ষক বাদে জরিপে অংশ নেওয়া অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করেন।

ভার্চ্যুয়াল এই সংলাপে পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক স্কুল খুলে শ্রেণিভিত্তিক (একসঙ্গে সব শ্রেণি না করে নির্ধারিত শ্রেণি) ক্লাস শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এই সংলাপে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ, প্রবীণ শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক আহমেদ, ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক শফিকুল ইসলামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে বলেছেন। তবে তাঁরাও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি আছে। #



 

Show all comments
  • আবদুল মান্নান ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:২২ এএম says : 0
    আমিও তাদের সাথে একমত
    Total Reply(0) Reply
  • Sohag Hossen ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪০ এএম says : 0
    90% people in favor of opening school.
    Total Reply(0) Reply
  • Ganopoti Biswas ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪০ এএম says : 0
    টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে জনমত জরিপের কোন মানে হয়না। এখানে মতামত নেওয়া উচিৎ স্বাস্থ্যবিষেশজ্ঞদের।
    Total Reply(0) Reply
  • জাফর ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪১ এএম says : 0
    সরকারের সিদ্ধান্তই সঠিক। আগে ভ্যাকসিন পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। আমরা সবাই মে মাস থেকে শিক্ষাক্রম শুরু করবো।
    Total Reply(0) Reply
  • Faruq Ahmed ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪২ এএম says : 0
    অনেক হয়েছে আর না অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Jaynal Abedin Masum Miya ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪২ এএম says : 0
    প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে আমি
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ শাহ আলম ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৭ এএম says : 0
    হাস্যকর। এই অভিভাবকগন বাজারে যাচ্ছে না? সবকিছু চলে শুধু শিক্ষার্থীদের করোনা খুজতেছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Shahnoor Alam Bhuiyan ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:৫১ পিএম says : 0
    শপিং মল খোলা আছে, বিভিন্ন মার্কেট খোলা আছে, এমনকি মাদ্রাসাও খোলা আছে, তাহলে স্কুল কলেজ ও ভার্সিটি খুলতে কি সমস্যা? বুঝতে পারছি না। সরকারী উদ্যোগে হেলথ প্রি কোশোনারী মেজারের ব্যবস্থা রেখে শর্ত রেখে, দরকার হলে সপ্তাহে তিন দিন করে শিফটের ব্যবস্থা করে গাইডলাইন বানিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিতে মাননীয়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mihir Ranjan Biswas ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:০৮ পিএম says : 0
    শিক্ষা প্রতিষঠান খুলে দিলেই মনে হয় ভালো হয়। যার যে কাজ তা করতে না পারলে ভালো লাগে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিভাবক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ