অস্তিত্ব সঙ্কটে ফরিদপুর অঞ্চলের নদ-নদী

ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সালথা, মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নদ-নদী,
মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে আলুর দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরু হাট বাজারে নতুন আলুর চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই ব্যসায়ীরা আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আলু উত্তোলনের পর ঢাকা কারওয়ানবাজারসহ জেলার বিভিন্ন আড়তগুলোতে বিক্রি করা হয়। লাভজনক হওয়ায় আলু চাষের প্রতি দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার সাটুরিয়া, সিংগাইর, ঘিওর, হরিরামপুর, সদর, শিবালয়সহ সাত উপজেলায় ১৯০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় উৎপাদনও ভালো হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য জমিতে এলগা মূলটা, বার্ডিনাল, মালতা, গ্যানোলা ও পোট্রোনাছ, বিনেলা জাতের আলু রোপণ করা হয়।
ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের আলু চাষি মো. মতিউর রহমান জানান, গত বছর ২বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। তবে, এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আমার তিন বিঘায় প্রায় ৮০ মন আলু উৎপাদন হয়েছে। নতুন আলুর চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই ১০ টাকা কেজি দরে আলু পাইকারি বিক্রি করে দিয়েছি। হাট বাজারে নিতে হয়নি। এ ছাড়া আলুর সাথে মিষ্টি কোমড়া গাছ লাগিয়ে ছিলাম।
সে মিষ্টি কোমড়া গাছে ফুল এসেছে। আলু উঠানোর পর এখন মিষ্ঠি কোমড়া বিক্রি শুরু হবে। তিনি আরো জানান, আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠবে আর মিষ্টি কোমড়া বিক্রি করে কিছু লাভের মুখ দেখতে পারব। সদর উপজেলার মিতরা বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ী আহম্মদ মিয়া জানান, নতুন আলু ১৩/১৫ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। আলুর আকার বড় ও সুন্দর হওয়ায় বিক্রি করে সুবিধা পাচ্ছি। প্রতিদিন আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেশি হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। দিন দিন আলু চাষের প্রতি ন্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।