Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উচ্ছেদের পর ফের দখল রূপগঞ্জে পিকআপ স্ট্যান্ড

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর বাস স্টপেজের জায়গায় গড়ে ওঠা পিকআপ স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদের একদিন না হতেই পুনরায় দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, পিকআপ স্ট্যান্ডটি মূলত বাস স্টপেজের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিলো। কিন্তু তা না করে গড়ে উঠেছে পিক-আপ স্ট্যান্ড। আর এদিকে বাস স্টপেজ করা হয়েছে পুরো রাস্তাজুড়ে। এখন ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করতে হচ্ছে সড়কের মাঝখানে। ফলে সড়কে রেলের বগির মতো লম্বা সিরিয়ালে যানজট লেগে থাকে। এছাড়া প্রতিনিয়ত শতাধিক পিক-আপ রাস্তা দখল করে থাকায় গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় যানজট লেগে থাকে। জনদুর্ভোগ লাঘবে গত বুধবার সকালে পুলিশ এই পিকআপ স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদের একদিন না হতেই পিকআপ স্ট্যান্ডটি আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও পথচারীরা। এ যেনো দেখার কেউ নেই।
গোপন সূত্রে জানা যায়, অবৈধ পিকআপ স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করলেও ট্রাফিক পুলিশের টিআই মনিরের নির্দেশে পুনরায় স্ট্যান্ডটি বহাল রয়েছে। পথচারী ও যাত্রীদের অভিযোগ, মহাসড়কে পিকআপ রাখায় গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় যানজট লেগে থাকে। এই স্ট্যান্ডে রয়েছে প্রায় ১শ’ পিকআপ। আর এসব মালবাহী যান কিছুক্ষণ পর পরই স্ট্যান্ড থেকে সড়কে বের হচ্ছে এবং স্ট্যান্ডে ঢুকছে। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
এ বিষয়ে পিকআপ স্ট্যান্ডের লাইনম্যান শফিউল্লাহ জানান, এটা অবৈধ স্ট্যান্ড নয়। পিকআপ রাখার জন্য স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। অথচ রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে এটা বাস স্টপেজ। কিন্তু এখানে বাস স্টপেজের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পিকআপ স্ট্যান্ড।
এ বিষয়ে ভ‚লতা ট্রাফিক পুলিশের টিআই মনির বলেন, পিকআপ স্ট্যান্ডটি আগে পুরো মহাসড়কে দু‘টি লাইনে বিভক্ত ছিল। এখন আমরা একটি লাইন রেখে অপর একটি লাইন ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া বাস স্টপেজের জায়গার বিষয়ে তিনি বলেন, এই জায়গায় পিকআপ স্ট্যান্ডটি আমি ভ‚লতা এলাকায় আসার আগে থেকেই ছিল। তাই এখন পর্যন্ত আছে।
এ বিষয়ে ভ‚লতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, আগেও আমি তিনদিন বলেছি এই পিকআপ স্ট্যান্ড সরাতে কিন্তু তারা আমার কথা কোনভাবেই শুনেনি। তাই বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ করি এবং দুটি পিকআপ সাথে সাথে ধরে রেকার বিলের মাধ্যমে জরিমানাও করি। এখন আবার বসেছে সেটা আমার জানা নেই। যদি বসে থাকে পুনরায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার ‘গ’ সার্কেল মাহিন ফরাজি বলেন, এই পিকআপ স্ট্যান্ডটি মূলত বাস স্টপেজ। আগে একবার পিকআপ স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবারও যদি বসে থাকে আমরা তার ব্যবস্থা নেবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিকআপ-স্ট্যান্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ