Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বে সপ্তাহে ৮, বছরে ৪২১ জন মানুষ ধনী হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২১, ১১:০৫ এএম

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মধ্যেও ২০২০ সালে বিশ্বে বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদ ৩২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। গত বছরে বিশ্বে প্রতি সপ্তাহে নতুন করে আটজন মানুষ বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। পুরো বছরে হয়েছেন ৪২১ জন। ফলে বিলিয়নিয়ারদের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে রেকর্ড তিন হাজার ২৮৮ জন। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২১’ এর দশম সংস্করণ অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলিয়নেয়াররা গত বছর যা আয় করেছেন তা জার্মানির জিডিপির সমান। ফলে তাঁদের সম্পদের পরিমাণ যা হয়েছে তা চীনের অর্থনীতির সমান। তাঁদের সম্পদ ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ১৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। হুরুন বৈশ্বিক ধনীর তালিকায় বিশ্বের ৬৮ দেশের দুই হাজার ৪০২ কম্পানির তিন হাজার ২২৮ জন বিলিয়নেয়ার স্থান পেয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত তাঁদের যে সম্পদের হিসাব তা এ তালিকায় তুলে ধরা হয়েছে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি কম্পানি টেসলার সিইও এলন মাস্ক গত বছর ১৫১ বিলিয়ন ডলার লাভবান হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আয় করে তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩২৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৯৭ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ২০২০ সালে এক নম্বরে থাকা অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজস এ বছর দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হয়েছেন। তাঁর সম্পদ ৩৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৮৯ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় শীর্ষ ধনী এলভিএমএইচের সিইও বার্নড আরনল্ট। ফরাসি এই ধনীর সম্পদ ৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১১৪ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ ধনী হলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এক বছরে তাঁর সম্পদ ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১১০ বিলিয়ন ডলার। পঞ্চম হলেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ। ২০২০ সালে তাঁর সম্পদ ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০১ বিলিয়ন ডলার।

ধনীর তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন বার্কশেয়ার হেথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেট। তাঁর সম্পদ ১১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯১ বিলিয়ন ডলার। সপ্তম স্থানে আছেন চীনা ধনকুবের জঙ্গ শানশান। প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ারের তালিকায় প্রবেশ করে তিনি ৮৫ বিলিয়ন ডলার সম্পদ দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি চীনের পানির বোতল কম্পানি নংগফুর মালিক। এর ফলে হুরুন রিপোর্ট অনুযায়ী তিনিই হলেন চীনের শীর্ষ ধনী। অষ্টম স্থানে রয়েছেন ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও সিইও মুকেশের সম্পদ ২৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৩ বিলিয়ন ডলার। নবম স্থানে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টেভ বলমার এবং বিলাস পণ্যের কম্পানি হার্মসের অন্যতম মালিক নিকোলাস পুয়েছ ও তাঁর পরিবার। বলমারের সম্পদ ১৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৫ বিলিয়ন ডলার। আর নিকোলোস পুয়েছের সম্পদ এক বছরে ৪৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ডলার।

হুরুন রিপোর্টের চেয়ারম্যান ও প্রধান গবেষক রুপার্ট হুগেওয়েরফ বলেন, করোনা মহামারির পরও ২০২০ সালে ধনীদের যে পরিমাণ সম্পদ বেড়েছে তা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ সাফল্যের কারণ শেয়ারবাজারে উত্থান এবং মুদ্রানীতি বা সরকারের প্রণোদনা।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বিলিয়নেয়ারের দেশ চীন। দেশটিতে রয়েছে এক হাজার ৫৮ জন বিলিয়নেয়ার, গত বছর বেড়েছে ২০০ জনের ওপর। দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটিতে বিলিয়নেয়ার গত বছর ৭০ জন বেড়ে হয়েছে ৬৯৬ জন, তৃতীয় ভারতে ১৭৭ বিলিয়নেয়ার। বিশ্বের ৫১ শতাংশ বিলিয়নেয়ার এখন এশিয়ায়। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধনী

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৩১ জুলাই, ২০২২
২৫ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ