Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী সাড়ে ৫ লাখ টন চাল আমদানিতে সময়সীমা শিথিল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০৫ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে রফতানিতে যে ক্ষতি হবে, লাভ তার চেয়ে বেশি হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমরা যা হারাবো, পাব তার চেয়ে অনেক বেশি। তিনি বলেন, অনেকে বলেছেন ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি কমে যাবে। তারা যেভাবে বলছেন এটা ঠিক নয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন এভাবে-আমরা ১০০ মিলিয়ন ডলার রফতানি হারালাম, এর মধ্য ৭৫ মিলিয়ন ডলার আমাদের ইনপুট হিসাবে আমদানি করতে হয়। ফলে কম হলে ওই ২৫ মিলিয়ন ডলার হারাব। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কিন্তু গ্রাজুয়েশনের ফলে আগের সমস্যা যা ছিল থাকবে না, আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতিসহ সবাই লাভবান হবে। আগে যারা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে তারা সবাই লাভবান হয়েছে। আমরাও লাভবান হব।

বুধবার (৩ মার্চ) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সভাপতির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন সিডিপি) তাদের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা করে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করেছে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ু ভঙ্গুরতা এই তিনটি মানদন্ডেই বাংলাদেশ যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী দুই বছরের প্রস্তুতি পর্ব শেষে ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও শুল্কমুক্ত রফতানি, সহজ শর্তে বিদেশি ঋণ সুবিধার মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাড়তি দুই বছর সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের বাড়তি দুই বছর সময় চাওয়ার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জাতিসংঘে আমার সর্বশেষ সফরে সাইডলাইনে সিডিপি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। অনেক কষ্ট করে একটা দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশনের পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্রাজুয়েশন করার পর যদি সুযোগ সুবিধা কেড়ে নেয়া হয় এবং যদি কোনো দেশ তা চালিয়ে যেতে না পারে তবে আগের অবস্থায় ফিরে আসার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই জন্যই এলডিসি থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিতে বাড়তি দুই বছর সময় চাওয়া হয়েছে। এই উত্তরণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে বিদেশিরা বিনিয়োগ নিয়ে আগে ভয়ে থাকতেন। এলডিসি থেকে উত্তরণে তাদের মধ্য থেকে সেই ভয়টা কেটে যাবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। ফলে দেশের অর্থনীতি দিন দিন শক্তিশালী হবে।

উদাহরণ দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন বড় এলসি খুলতে গেলে অন্য বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে খুলতে হয়। এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে দেশের ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি এলসি খোলা যাবে। তিনি বলেন, এখন বিদেশীরা দেশে বিনিয়োগ করতে ভয় পায়, কিন্তু গ্রাজুয়েশন হলে এই ভয় থাকবে না।

সূত্র মতে, ২০১৮ সালে জাতিসংঘের সিডিপি জানায় যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে। এলডিসি থেকে বের হতে সিডিপির পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি পেতে হয়। সেই অনুযায়ী চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিডিপি তাদের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা করে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে চ‚ড়ান্তভাবে সুপারিশ করেছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সময়সীমা শিথিল করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রস্তাবনা অনুযায়ী সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ দিন করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৭ম এবং সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৮ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য তিনটি এবং ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত দুটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্প‚র্ণ অর্থই জিওবি হতে ব্যয় হবে।

চাল আমদানিতে সময় কমানোর পদক্ষেপ কেন নেয়া হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে। চালও উৎপাদন কম হয়েছে। আপনারা জানেন গত বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি।

তবে আমরা খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্প‚র্ণ সবসময় এটা দাবি করি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি কোনো আগাম বন্যা না হয়, আর যদি কোনো ঝড়ঝঞ্জার মধ্যে না পড়ি তাহলে আমরা স্বাভাবিক থাকব। তাহলে আমাদের আমদানি করারও প্রয়োজন হবে না। যাই হোক আজ যে প্রস্তাবটি এসেছে সেটার দাম নির্ধারণ করা হবে টেন্ডার করার পর। আজ শুধু আমরা সময় দিয়েছি এতদিনের মধ্যে আমদানি করতে হবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, তাদের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) বলে দেয়া হয়েছে, তারা লক্ষ্য রাখবেন আবার বেশি যেন আমদানি করে না ফেলে। বেশি আমদানি হলে আবার বাজারের ওপর প্রভাব পড়বে। এ পুরো বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করবে। যাতে তাদের যেটুকু ঘাটতি আছে বলে তারা মনে করছে সেটুকু আমদানি করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তরিত তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদফতর থেকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন করার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সাড়ে পাঁচ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে টেন্ডারের মধ্যে না জিটুজির আওতায় আনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই উদ্যোগী মন্ত্রণালয় (খাদ্য মন্ত্রণালয়) সরকারের নিয়মনীতি অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রক্রিয়াকরণ করবে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে নীতিগত অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার জন্য বেজা ও বেপজার মধ্যে স্বাক্ষরিতব্য ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, বেজা ও বেপজা দুটিই সরকারি সংস্থা। তাদের মধ্যে একটা ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে। বেজা বেপজাকে জমি দেবে। সেটার ওপর তারা কাজ করবে। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষে আন্তর্জাতিকমানের বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে ‘ইক্যুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অব পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল অন পিপিপি মডেল’ প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৪ মার্চ, ২০২১, ১২:৫৭ এএম says : 0
    পৃথিবীর বুকে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বসর পর বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা একটি আর্তমর্যাদাশীল মর্যাদাবান বাংলাদেশের পরিচিতি দিয়েছেন। আমরা গৌরবময় জাতি বিশ্বের বুকে মাথাউচু করে দাঁড়িয়ে বলবো বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ উন্নয়ন অগ্রগতির এইসোনালী যাত্রাপথের কান্ডারী বিশ্ব মানবতার মা বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদেরএকজন দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনীতি উন্নয়নশীল দেশের প্রতিষ্টাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা। আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনৈতিক আঞ্চলিক প্রতিবেশী প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে শক্তিশালী পক্ষের বিরাট চ‍্যালঞ্জের মুখোমুখি হলো দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির রুপকার শক্তিশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথী বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা। বিরাট চ‍্যালেঞ্জ কঠিন যাত্রাপথে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচক্ষনতার সাথে দক্ষ কুটনৈতিক বুদ্ধি ও কৌশলে এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। নির্বাহী প্রধান বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা দেশ ও জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা সুনিশ্চিতভাবে করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার ভীষনকে সম্মান দিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়াই অভিনন্দন জানানো উচিৎ। মন্ত্রী মহোদয় বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাঅক্ষরে লিখা থাকবে শতাব্দীর পর শতাব্দী বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার উন্নয়ন অগ্রগতির শক্তিশালী বাংলাদেশের ইতিহাস। ঐক্যবদ্ধ জাতি শক্তিশালী নেতৃত্ব মহাপরিকল্পনার ভিষণ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ। শক্তিশালী আর্তনির্ভরশীল মর্যাদাবান বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Delowar Modhu ৪ মার্চ, ২০২১, ২:৫৭ এএম says : 0
    অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একদম ঠিক কথা বলেছেন
    Total Reply(0) Reply
  • রিপন ৪ মার্চ, ২০২১, ৩:০১ এএম says : 0
    আমরা যা হারাবো, পাব তার চেয়ে অনেক বেশি।
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুর রহমান ৪ মার্চ, ২০২১, ৩:০১ এএম says : 0
    এটা এই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য
    Total Reply(0) Reply
  • Mokbul Miah ৪ মার্চ, ২০২১, ৩:০৩ এএম says : 0
    জয় বাংলা
    Total Reply(0) Reply
  • নীল প্রজাপতি ৪ মার্চ, ২০২১, ৮:১৯ এএম says : 0
    আমিও আপনার সাথে একমত। কিছু ক্ষতি থাকলেও লাভ ইনশায়াল্লাহ বেশি হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রী

১১ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ