কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি মামলা
কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে আরও দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এর আগে গ্রুপের সংঘাতের জেরে থানায় ও আদালতে পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা হয়েছে। শনিবার (১৭ এপ্রিল)
নগরীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মোহাম্মদ ইমন রনি (২৫)। নগরীর বায়েজিদ থানার আরেফিন নগরে
রোববার রাত ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ইমন রনি বায়েজিদ থানার আরেফিন নগর মুক্তিযোদ্ধা কলোনির নূর কাসেমের ছেলে।
বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইয়াছিন হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের দু'পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিনে বায়েজিদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে কয়েকবার।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় কুমার বসাক বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় সোহেল গ্রুপ ও রিপন গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। ছুরিকাঘাতে আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ইমন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদের অনুসারী সোহেল গ্রুপের কর্মী। অন্য পক্ষ একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের অনুসারী রিপন গ্রুপের কর্মী।
উভয় গ্রুপই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আহত অবস্থায় ইমনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় যুবক মো. ইয়াসিন হোসাইন রাব্বি। নিজেকে বায়েজিদ বোস্তামি থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য পরিচয় দেওয়া ইয়াসিন বলেন, তিনদিন আগেও মহিউদ্দিন গ্রুপের ছেলেরা তানভীর গ্রুপের ওপর হামলা করে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর আবার হামলা করেছে।
পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক ইমনও বায়েজিদ বোস্তামি থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বলে ইয়াসিন জানান।
তবে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর জানিয়েছেন, নিহত ইমন নগর ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটির সদস্য নন। পাল্টা ঘোষিত কমিটির সদস্য ইমন ।
বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রীটন সরকার বলেন, দু'গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন নামের একজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রাত পৌনে ১১টার দিকে লাশ চমেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগে আনা হলে ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে খুনিদের বিচার দাবি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।