Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুর্নীতির কারণে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাহত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, দেশে দুর্নীতির কারণে নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাহত হয়। যেসব দেশে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষময়তায়ন সাফল্যজনক, সেসব দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সাফল্য পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও সুশাসনের অভাব ও দুর্নীতির কারণে নারীর ক্ষমতায়ন কাক্সিক্ষত মাত্রায় অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। আবার দুর্নীতির কারণে পুরুষের তুলনায় নারীর ঝুঁকি বেশি। গতকার সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এ আহ্বান জানানো হয। এবছর ‘টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন : নেতৃত্বে নারী ও সমতা’ প্রতিপাদ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে টিআইবি।

এতে টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতে নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং সবক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব প্রদানের মতো অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয। এতে বলা হয় ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে দেশের ২৪টি উপজেলার নারী নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) অংশগ্রহণে একই প্রতিপাদ্যে দুইদিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এছাড়া, স্থানীয় পর্যায়ে টিআইবির অনুপ্রেরণায় ৪৫টি অঞ্চলে গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এবং ঢাকা ও সনাকভিত্তিক ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনলাইনে আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা, কন্টেন্ট রাইটিং প্রতিযোগিতাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তাই নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন যেমন অসম্ভব, তেমনি নেতৃত্বে নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ ছাড়া জেন্ডার সমতা ও সুশাসন নিশ্চিত করাও সম্ভব নয়। জেন্ডার অসমতা ও দুর্নীতি পরস্পর সম্পর্কিত। জেন্ডার অসমতা সুশাসন, টেকসই উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনকে বাধাগ্রস্ত করে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, টিআইবি পরিচালিত জাতীয় খানা জরিপ-২০১৭ এর তথ্যমতে সেবাগ্রহণকারী হিসেবে ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ নারী দুর্নীতির শিকার হয়েছে। এছাড়া আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, নারীর ওপর সুশাসনের ঘাটতি ও দুর্নীতির বহুমুখী প্রভাব রয়েছে। সা¤প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, কোভিড-১৯ অতিমারিকালে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ নারীর দৈনন্দিন জীবনাচার নিয়ন্ত্রণ এবং ৩৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নারী অর্থনৈতিকভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। আর ৪৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ নারী শারীরিক ও যৌন উভয় ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিআইবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ