পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে প্রায় ৫০ হাজার শিশু দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। এদের মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ পরিপূর্ণ বা আংশিক চিকিৎসা গ্রহণ করছে। কিডনি প্রতিস্থাপন করেছে মাত্র ১১ জন। গত ১০ বছরে সারাদেশে মোট ২১৫ জন শিশু হিমোডায়ালাইসিস, ২৬ জন শিশু দীর্ঘমেয়াদি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস সেবা নিয়েছে। গতকাল বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বিএসএমএমইউয়ের শিশু কিডনি বিভাগের শিক্ষক ও পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (পিএনএসবি) -এর মহাসচিব প্রফেসর ডা. আফরোজা বেগম এসব তথ্য জানান। এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কিডনি রোগেও স্বাভাবিক জীবন’।
ডা. আফরোজা বেগম জানান, যারা ডায়ালাইসিস সেবা নিচ্ছে তাদের বেশিরভাগই অনিয়মিত ও শেষ পর্যন্ত তারা চিকিৎসা থেকে ঝরে যাচ্ছে। অনেকে শেষ পর্যন্ত অকালে মৃত্যুবরণ করছে। একটি শিশু কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নবজীবন লাভ করতে পারে। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অভিভাবক আগ্রহী নন। যদিও কিডনি প্রতিস্থাপনে দাতা ও গ্রহীতার কোনো সমস্যা হয় না। কিডনী প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে একটি শিশু ২০ থেকে ৩০ বছর বা আরো বেশি সময় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে এবং দুই-তিনটি কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রায় স্বাভাবিক দীর্ঘজীবন লাভ করা সম্ভব। এর খরচ এবং প্রযুক্তিও এদেশের মানুষের হাতের নাগালে।
তিনি বলেন, সমাজের প্রচলিত ধারণা হলো, কিডনি রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। শিশুদের বেলায় এ ধারণা আরও প্রকট। ফলে এক বিরাট জনগোষ্ঠী বিনা চিকিৎসা বা অপচিকিৎসার সম্মুখীন হচ্ছে, তেমনি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বোঝা বলে গণ্য হচ্ছে।
করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় নিম্ন বা মধ্য আয়ের দেশের শতকরা ৯৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে অপারগ। তাই কিডনি রোগীদের ঘরে ঘরে সামাজিক অবস্থানে, ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যেমন : কিডনি রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, অমূলক ভীতি, হতাশা ও অবহেলা পরিহার করে কিডনি রোগ বিষয়ে বাস্তব শিক্ষা প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ভর্তুকি প্রদান, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি এনজিও, মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম ভ‚মিকা পালন করতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া শিশুদের কিডনী রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির সাথে সাথে যথাযথ সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন, কিডনী রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম দেশব্যাপী পর্যাপ্ত ও সহজলভ্য করতে হবে। প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।
এদিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) বিশ্ব কিডনি দিবসউপলক্ষ্যে গতকাল নানা কর্মসূচী পালন করেছে। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল কিডনি স্যাম্বলিক ২ টি সজ্জিত ঘোড়ার গাড়ী ঢাকা শহর প্রদক্ষিন করে এবং সাধারণ মানুষকে কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। বিশ^ কিডনি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পস স্বল্প খরচে মাস ব্যাপি কিডনি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও একটি আলোচনা অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহষ্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সারা পৃথিবীব্যাপী বিশ^ কিডনি দিবস পালিত হয়। ক্যাম্পস এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাপাতাল এর অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ, ক্যাম্পস এর নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।