মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তার নাতি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী প্রিন্সেস মেগান মার্কেলকে নিয়ে কার্টুন এঁকে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছে ফরাসি রম্য ম্যাগাজিন শার্লি এব্দো। গত শনিবার ছাপা হওয়া কার্টুনটি বর্ণবাদী ও কুরুচিপূর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। খবর সিএনএনের
কার্টুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে পুলিশের সঙ্গে তুলনা করে মেগানকে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিহত হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কার্টুনের হেডিং করা হয়েছে, ‘কেন মেগান বাকিংহাম ছাড়লেন?’ রানির হাঁটুর নিচে পিষ্ট মেগান বলছেন, ‘কারণ আমি আর শ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
শার্লে এবদোর ওই ছবিতে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে যে রাজপরিবারে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল মেগানের। আর ওই কারণেই পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দিতে বাধ্য হন তারা। অপরা উইনফ্রেহ সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন মেগান মার্কেল। যেহেতু তিনি নিজে শ্বেতাঙ্গ নন, তাই তার সন্তানের গায়ের রঙ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলত রাজপরিবারের অন্দরে। মায়ের কারণেই বাচ্চার গায়ের রঙ ফর্সা হবে না বলে আলোচনা হতো। এই ঘটনায় তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে একসময় আত্মঘাতী হওয়ার ভাবনাও আসে মেগানের মাথায়।
বিস্ফোরক ওই সাক্ষাৎকারের মূল বিষয় বর্ণবিদ্বেষ এবার তুলে ধরল শার্লে এবদো। আর এজন্য তারা বেছে নিয়েছে আমেরিকায় জর্জ প্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা। দু’টি বিষয়কে কার্যত একই আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে। বোঝানো হয়েছে, বর্ণবিদ্বেষী রাজপরিবারে শ্বাস নিতে পারছিলেন না মেগান। ‘শার্লে এবদো’র ওই কার্টুন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক ইউজারই ওই কার্টুনকে অসম্মানজনক বলে চিহ্নিত করেছেন। বর্ণবৈষম্য নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজে যুক্ত ব্রিটেনের এক সংস্থা জানিয়েছে, ‘ওই প্রচ্ছদ সব স্তর থেকেই অত্যন্ত নক্ক্যরজনক।’ রানিমেড ট্রাস্টের সিইও ডঃ হালিমা বেগম বলেন, ‘এই ধরনের প্রচ্ছদে কোনওভাবেই বণ্যবৈষম্য বন্ধ হবে না। এই ব্যঙ্গচিত্রে কারো হাসিও পাবে না। বরং প্রকৃত কারণ এবং বিষয়কে এই কার্টুন আরো বেশি অসম্মানিত করেছে।’
ব্রিটিশ পত্রিকাগুলোও একহাত নিয়েছে শার্লি হ্যাবদোকে। দ্যা সান শিরোনাম করেছে— 'ডিজগাস্টিং'। ব্রিটেনের বহলি প্রচারিত পত্রিকা ডেইলি এক্সপ্রেস ও জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্যা মিররও একই ধরনের শিরোনাম করেছে। ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি হ্যাবদো বরাবরই এ ধরনের বিতর্কিত কার্টুন প্রকাশ করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে গোটা বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। সারাবিশ্বে এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ ঘটনার জেরে ২০১৫ সালে পত্রিকাটিতে হামলার ঘটনাও ঘটে। এতে কার্টুনিস্টসহ পত্রিকাটির ১২ কর্মী নিহত হন। সূত্র : সিএনএন, বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।