Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহিতা ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষকগণকে দায়িত্ব পালন করতে হবে : মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান

মোহাম্মদ আবদুল অদুদ | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২১, ১০:১৮ পিএম | আপডেট : ৫:৪১ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২১

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ বলেছেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহিতা ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষকদেরকে ইসলাম ও দেশের জন্য সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা যেন আরবী ভাষায় কথোপকথনে পারদর্শী হতে পারে, তারা আরবী বুঝতে পারে এবং আরবীতে লিখতে পারে তার ব্যবস্থা ক্লাসেই শিক্ষকগণ নিশ্চিত করবেন, যেন পড়া শেষে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। তিনি ইনকিলাবের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই আরবীতে দক্ষ জনশক্তির খুব চাহিদা রয়েছে। এমনকি আমাদের দেশের বিভিন্ন দূতাবাস, পর্যটন খাত এবং অনুবাদ সেন্টারগুলোসহ বহুক্ষেত্রে আরবী ভাষায় দক্ষ লোকজন দরকার। মধ্যপ্রাচ্যে আরবীতে দক্ষরা অফিসার হিসেবে চাকুরি করে মোটা অংকের রেমিটেন্স উপার্জন করে দেশে পাঠাতে পারে।তিনি বলেন, প্রতিটি মাদ্রাসার শিক্ষকগণ পরকালে মহান আল্লাহর নিকট জবাবদিহির চেতনা থেকেই তাদের ছাত্রদের জন্য সেই সুযোগ করে দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষাবান্ধব পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্মমুখি করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। কর্মমুখি শিক্ষাভিত্তিক চীনের উত্থানের কথা তিনি উল্লেখ করে বলেন, চীনের কাছে আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আজ মার খাচ্ছে। কানাডার এক ভদ্র মহিলার শীতের সকালে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ দেখার পর যখন জানতে পারি তিনি এই বিশালাকার হোটেলের মালিক, তখন মনে হয়েছে আমাদের দেশে এক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বিপরীত।যা বদলাতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ডায়নামিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনার ছাত্র যাতে ঘুষখোর না হয়, দেশপ্রেমিক হয়, সেই নীতিজ্ঞান তাকে কে দেবেন?নিঃসন্দেহে এ দায়িত্ব শিক্ষকের।একজন ছাত্র বা ছাত্রী দেশের প্রতি, তার পিতা-মাতার প্রতি, সমাজের প্রতি দায়িত্ববান হতে এবং সততার মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে শিক্ষকের ভূমিকা মুখ্য বলে মনে করেন এই শিক্ষা প্রশাসক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা যে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এনওসি, আন্তঃমন্ত্রনালয়ের যৌথ সিদ্ধান্ত এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লাগবে। সাথে সাথে দেশে অনুমোদনবিহীন কোনো প্রতিষ্ঠান করার সুযোগ যেন না থাকে তার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ