Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুলসুমার পরিবর্তে মিনুর কারাভোগ

বিচারিক আদালতের নথি এখন হাইকোর্টে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত কুলসুমা আক্তার কুলসুমের পরিবর্তে কারাভোগকারী মিনুর মামলা সংক্রান্ত নথি এখন হাইকোর্টে। গতকাল বুধবার নথিপত্র হাইকোর্টে পৌঁছায়। ডেসপাস শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা একেএম ফারুক হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম আদালত থেকে বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে আমাদের কাছে মিনুর ১১ পৃষ্ঠার একটি নথি পাঠানো এসেছে। এই নথি এখন হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হবে। ওই শাখা থেকে নথি আদালতে উপস্থাপিত হবে সিদ্ধান্তের জন্য।

চট্টগ্রাম আদালতে ওই নারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ একই তথ্য দেন। গত ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমা আক্তার কুলসুম নামে এক নারীর পরিবর্তে সাজা ভোগ করার অভিযোগ আনা মিনুর নথির ছায়ালিপি হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞার আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, একজনের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন এই নারী। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে ২৩ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হয় কুলসুমা আক্তারের। আর তার এ সাজা খাটছেন মিনু আক্তার। আসামি না হয়েও ৩ বছর ধরে সেই সাজা খাটছেন মিনু আক্তার।

কেন এমন হলো? এটি কার ভুল? তাদের চেহারায়ও মিল নেই। কুলসুমার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়। আর মিনুর বাড়ি সীতাকুন্ডের জাফরাবাদে। মিনু আক্তারের অন্যের সাজা খাটার রহস্য রেব করতে গত মঙ্গলবার ফের শুনানি হয় আদালতে। এ জন্য কারাগারের মূল আসামি রেজিস্ট্রারসহ নথিপত্র নিয়ে হাজির হতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিফুল ইসলাম খানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মোবাইল ফোন নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় পোশাককর্মী কোহিনুর বেগমকে হত্যা করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর এই মামলার রায়ে কুলসুমাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান জানিয়েছেন মূল আসামি কুলসুমা আক্তার মামলার সাজা হওয়ার আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। সাজা হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুমা সেজে মিনু আক্তার কারাগারে আসেন। কারা রেজিস্ট্রারে থাকা দু’জনের ছবির মিল নেই। বিষয়টি জানার পর লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়। জানা যায়, মূলত আসল আসামিরা দরিদ্র এই মহিলাকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ