Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অশান্ত সিলেটের গজুকাটা সীমান্ত

সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে মসজিদের কাজ

এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল, গজুকাটা সীমান্ত এলাকা থেকে ফিরে : | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার গজুকাটা সীমান্ত এলাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এখনো শান্ত হয়নি। গতকাল বুধবার সকালে বিজিবি’র প্রতিবাদে বিএসএফ সীমান্ত এলাকার জিরো লাইনের ২০ গজের ভেতর থেকে একটি বাঙ্কার সরিয়ে নিয়েছে। তবে রাত সাড়ে ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমানা পিলারের নিকটবর্তী অপর বাঙ্কারগুলো এখনো রয়েছে।

এদিকে দুপুরে বিজিবি ৫২’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী গজুকাটা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন। তিনি মসজিদ নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করতে পারেন সে জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে যোগাযোগ চলছে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানা গেছে।
৫২’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী জানান, গজুকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। গত মঙ্গলবার বিকেলের বৈঠকে এ নিয়ে বিএসএফকে চাপ প্রয়োগ করলে তারা উর্ধ্বতন মহলের সাথে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে বৈঠক স্থল ত্যাগ করে। বিজিবি সিইও জানান, রাত ৮ টা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। বিষয়টি বিজিবি’র উপর মহলেও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, কাটাতারের ভেতরে অর্থাৎ ১৩৫৭ নং পিলারের আওতায় ভারতীয় ৭১ পরিবার এবং ১৩৫৭/ ১-টি ৪ এস থেকে ৭ এস পিলার এর আওতায় আরো ভারতীয় ৬ পরিবার বসবাস করে আসছেন। এসব পরিবারের সদস্যদের সাথে কৌশলে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, এই মসজিদটি ২০০ বছরের পুরনো। তাদের বাপ দাদারা এই মসজিদে বাংলাদেশীদের সাথে নামাজ আদায় করে গেছেন। এখনো অনেকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলে নামাজ পড়েন। ভারতীয় এসব নাগরিকদের মতে, এখানে মসজিদ নির্মাণে বিএসএফ’র বাধা প্রদান অযৌক্তিক। তারা সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রত্যাশা করেন।
গজুকাটা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভারতের অংশে ভারতীয়রাও করেছে। তাতে বিজিবি কোন রকমের বাঁধা দেয় নাই। কিন্তুু বিএসএফ বাঁধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা জানান, পুরনো এই মসজিদের পাশেই তাদের ঈদগাহ ছিল। আর এই ঈদগাহর জায়গায় তারা মসজিদ নির্মাণ করছেন। এলাকাবাসী যাতে ত মসজিদ নির্মাণ করতে পারেন সে জন্য সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অশান্ত সিলেট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ