Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করবো মাস্ক ছাড়া কেউ যাতে বাইরে না যায়, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং প্রত্যেকটি সভা বা সিম্পোজিয়াম, সেমিনার বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। ঘরের মধ্যে করলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বেশি দেখা দেয়। এ সময় ভ্যাকসিন প্রদানও চলবে।

গতকাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু অ্যাভনিউয়স্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশে একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না সরকার সবাইকে ঘর করে দেবে। আমরা প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি যেগুলো বাকী আছে সেগুলোও করে দেব, শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে শতভাগ গৃহকে আমরা আলোকিত করবো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সংবিধানে যে মৌলিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন আমরা সে আলোকেই পথ চলছি। তার সব কাজ পূর্ণ করছি। তিনি বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীন কেউ যেন বাদ না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কেউ বাদ গেলে জানাতে হবে।

তিনি স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা স্কুল কলেজগুলো খুলে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এখন হঠাৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে আমরা এখন নয়, রোজার ঈদের পরে আমরা স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেব। আর এই ফাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসবের মেরামত লাগবে সেসব কাজ ইত্যবসরে সরকার করে দেবে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সব অনুষ্ঠান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। পাশাপাশি গত বছর মানুষের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সামনেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যা করার করব। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও মানুষের পাশে থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় প্রারম্ভিক ভাষণ দেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কোচি ও হুমায়ুন কবির বক্তৃতা করেন। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদসহ সকল গণআন্দোলনে আত্মাহুতিদানকারীদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যেহেতু, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব আবার দেখা গেছে এবং এই ভাইরাসটাও আবার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এসেছে। তাই, আমাদের ঠিক আগের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। এই প্রার্দুভাব কতদিন থাকবে আমরা এখনো জানি না। তার জন্য আমাদের প্রস্তুতিটা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনাভাইরাসে যেন মানুষের কষ্ট না হয়, একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আপনাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঁচ দেশের প্রধান এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আমরা পেয়েছি। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা। তিনি বলেন, সময়ের অভাবে সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সব বার্তা রক্ষিত আছে। এগুলো তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। তাদের শুভেচ্ছাবার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, সবুজ বাংলা আরও সবুজ করতে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যেন অন্তত খাদ্য সংকট না হয়। আমরা নিজের খাদ্যের জোগান নিজেই নিশ্চিত করে অন্যকেও দেব।



 

Show all comments
  • মিরাজ আলী ২৯ মার্চ, ২০২১, ৫:২৭ এএম says : 2
    দিনের বেলা সব কিছু খোলা রেখে রাতের বেলা কড়া Lockdown করে কোনও লাভ নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • হাদী উজ্জামান ২৯ মার্চ, ২০২১, ৫:২৭ এএম says : 0
    যাদের আর্থিক নিরাপত্তা আছে তারা লকডাউনের পক্ষপাতী।কারন তারা আরও ছুটি উপভোগ করতে পারবে।কিন্তু গরীব মানুষ সবে রোজগার শুরু করেছে।তারাতো আবার নিরন্ন হবে।কোরোনা লাগবে না।তারা অনাহারে মরবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নিশা চর ২৯ মার্চ, ২০২১, ৫:২৯ এএম says : 3
    ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন
    Total Reply(0) Reply
  • মহীয়সী বিন্তুন ২৯ মার্চ, ২০২১, ৫:২৯ এএম says : 3
    করোনাকে অবহেলা করলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • বদরুল সজিব ২৯ মার্চ, ২০২১, ৫:৫৬ এএম says : 0
    মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মাদ শুআইব ২৯ মার্চ, ২০২১, ১০:০১ পিএম says : 0
    এ সব কিছু মাদরাসাগুলো বন্ধ রেখে দেশকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ