Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হংকংয়ের নির্বাচন নিয়ে নতুন আইন চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

হংকংয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত্র বিধি বিধানে পরিবর্তন আনছে চীনা। সমালোচকরা বলছেন এটি অঞ্চলটির ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করবে। এই আইন সংস্কারের উদ্দেশ্য যাতে শুধু কথিত ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যক্তিরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সমালোচকরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, এই আইন বিরোধীদেরকে পার্লামেন্টের বাইরে রাখবে, যার অর্থ সেখানে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটবে। চীনের এ পদক্ষেপের অর্থ হলো, যে কোনও ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগেই পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, তিনি চীনের প্রতি যথেষ্ট অনুগত কি-না। এর আগে গত মার্চে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সময় বেইজিং হংকং-এর নির্বাচনি পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা অনুমোদন করে।এখন হংকংয়ের মিনি সংবিধানে সংযোজনের আগে কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি প্রস্তাবিত আইনটির সবকিছু খতিয়ে দেখছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হংকং-এর পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ৭০ থেকে বেড়ে ৯০টি হবে। কিন্তু এর সবচেয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ দিক হলো এটা হবে এমন এক পদ্ধতি যেখানে পার্লামেন্টের এমপি অর্থাৎ লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য হতে যারা লড়বেন তাদের আগে ভেটিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ফলে চীনের সমালোচক কোনও রাজনীতিককে আগেই বাদ দেওয়া সম্ভব হবে। এখন লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের অর্ধেক সদস্যকে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। অতীতে এমন কিছু আসনে গণতন্ত্রপন্থীরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর বাকী অর্ধেক আসনে মূলত ব্যবসা, বাণিজ্য কিংবা ব্যাংকিং খাতের মতো খাতগুলো থেকে নেওয়া হয় যেগুলো ঐতিহাসিকভাবেই বেইজিংপন্থী হিসেবে পরিচিত। মূল আইনটিই পাল্টে ফেলা হচ্ছে কি-না তা নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। এটি ছিল মূলত ব্রিটেন ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি যেটি ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় সম্পাদিত হয়েছিল। হংকংয়ের বেইজিংপন্থী শিবির বলছে, সংবিধান পাল্টে ফেলা হচ্ছে না তবে গণতন্ত্রপন্থীরা বলছেন, সেটিই করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক ইয়ান চং বলেন, ‘কার্যত মূল আইনের পরিবর্তন এটা নয়। তবে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের যে চেতনা বা সার্বজনীন ভোটাধিকারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। এর আগে হংকংকে নিয়ে ব্রিটেন ও চীনের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে চীনের চেয়ে হংকং-এ বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিলো যা ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ‘এক দেশ দুই পদ্ধতি’ হিসেবে বলবৎ থাকার কথা। কিন্তু শুরু থেকেই বেইজিং অঞ্চলটিতে তার প্রভাব বাড়ানোর কাজ শুরু করে। তবে চীনের বিরুদ্ধে ওই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেশটি সবসময় অস্বীকার করে আসছে। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ