Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রামগতির চররমিজ ইউনিয়নে বহিরাগত অস্ত্রধারী লাঠিয়াল বাহিনীর মহড়া

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১:২১ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে রামগতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শরাফত আলী ভুইঁয়া ও ফরহান আযাদ কোহেল।অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর হাতিয়া-বয়ারচর ও চরগজারিয়া থেকে বহিরাগত অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী এনে নির্বাচনী মাঠে ওপেন মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম দিদার।দিদার লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে জেলা পরিষদ থেকে নামে-বেনামে প্রকল্প দেখিয়ে সরকারী অর্থ লোপাট করা সহ একটি ক্যাডারবাহিনী তৈরী করেন। তার বড় ভাই ড.আশ্রাফ আলী চৌধুরী সারু একজন ব্যবসায়ী। একসময়ে তিনিও বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও পরবর্তী আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ফরিদুন্নাহার লাইলীর ছত্রছায়ায় আওয়ামীলীগ নেতা বনে যান। হয়ে যান রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি। এই সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ও কালো টাকার জোরে তার ছোট ভাই মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের জন্য নৌকার টিকেট ভাগিয়ে আনেন।প্রবীণ ও ত্যাগীদের উপেক্ষা করে সুযোগ সন্ধানী দিদার নৌকার টিকেট পেয়ে চররমিজ ইউনিয়ন ব্যাপী চালাচ্ছে নির্বাচনের নামে এক সন্ত্রাসের রাজত্ব। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের উপর চালাচ্ছে নানা নির্যাতনের স্টিমরোলার।তাদের প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে নৌকার সমর্থিত বহিরাগত লাঠিয়াল বাহিনী।পোস্টার ছেঁড়া ও দিনে দুপুরে ওপেন অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করাসহ নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন দিদারের লোকজন।এমন অভিযোগ এনে গত ২৫-৩-২০২১ ইং তারিখে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরাফত আলী ভুইঁয়া রামগতি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে ছানাউল্লাহ,সফিক মাল,হুমায়ুন মাল,গোলাম সারওয়ার, নোমান উদ্দীন, ইয়াসিন আরাফাত, সজিব উদ্দীন, আব্দুর রহমান,রিপন,রায়হান ও শিবলুর মত সন্ত্রাসীরা বহিরাগত অস্ত্রধারী লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন নির্বাচনি এলাকায়।

অভিযোগ সুত্রে আরও জানাযায়,রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের কর্মী সমর্থকরা প্রতিনিয়ত আচরন বিধি লংঘন করে একের পর এক নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করে আসছে। কিন্ত পুলিশ প্রশাসন সম্পুর্ন নিরব।আওয়ামীলীগের কর্মীরা বিবিরহাট চৌধুরীর বাজার,আযাদ মেমোরিয়াল থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত এসব এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওপেন রড ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা।
প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী শরাফত আলী ভুইঁয়ার আনারস ও ফরহান আযাদ কোহেলের টেবিল ফ্যান মার্কার কর্মী সমর্থকদের দেখলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন।অভিযোগের বিষয়ে নৌকার প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন,স্বতন্ত্র প্রার্থী শরাফত আলী ভুইঁয়া ও ফরহান আযাদ কোহেল নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত করে রেখেছেন।পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অন্যদিকে শরাফত আলী ভুইঁয়া ও ফরহান আযাদ কোহেল বলেন, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর আওয়ামীলীগের লোকজন তাদের প্রচারে বাধা দিয়ে আসছে। তাঁদের পোস্টার ছেঁড়াসহ কর্মীদের পিটিয়ে জখম করেছেন। এছাড়া নানা হুমকি ধমকিতে ভোটাররা আতংকিত।এ অবস্থায় প্রচার চালাতে গেলে সংঘাত সৃষ্টি হবে বলে আশংকা তাদের।

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোলাইমান বলেন,দুপক্ষের দুইটি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ