টিকাদানের ক্ষেত্রে চিলির অবস্থান বিশ্বে শীর্ষে। দেশটির ৫৯ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ হার ৫০ ও যুক্তরাজ্যে ৫৬ শতাংশ। কিন্তু কোভিডে আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চিলি। চিলির এ অবস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো সতর্ক হতে বলছেন সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা। চিলির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বের ক্ষেত্রে যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা তা দেশটিতে কেউ মানতে নারাজ। -এনওয়াইটি, ফোর্বস

ফলে পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বেড়ে যাওয়া আক্রান্তের এ সংখ্যা গত এক বছরের দীর্ঘ রেকর্ড। গত কয়েক মাসে হাসপাতালে ভর্তি ও কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। যদিও দিনে মৃত্যুর সংখ্যা গত জুনের সর্বোচ্চ সংখ্যার চেয়ে নিচে রয়েছে। চিলিতে দিনে গড়ে ৬ হাজার ৯শ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে গত সপ্তাহে। গত শুক্রবার ৮ হাজার ১১২ জন আক্রান্ত হয় কোভিডে।

এ বছরের শুরুতে চিলির ভেতর ভ্রমণে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। চিলির ৩৭ শতাংশ মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা দিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রতিরোধ ক্ষমতা উঁচু মানে পৌঁছাতে এ হার ৭০ শতাংশ হওয়া উচিত। দুই সপ্তাহ আগে ফের লকডাউন আরোপ করেছে চিলি। শুরুতেই চিলি টিকা পেতে ফাইজার ও চীনের ক্যানসিনো ও সিনোভ্যাকের সঙ্গে চুক্তিও করতে সমর্থ হয়েছিল।