Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২০ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৫২ এএম

২০০১ সালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২০ বছর আজ। এখনও মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। নিম্ন আদালতে রায় হলেও হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরুই হয়নি। কবে নাগাদ শুনানি শুরু হবে, তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এদিকে সাক্ষীর অভাবে ঝুলে আছে একই ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনের অপর মামলাটিও।

রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন আদালত। মামলায় সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৪ আসামি এখনও পলাতক।

২০০১ সালে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় করা দুই মামলার মধ্যে হত্যা মামলার রায় হয় ২০১৪ সালের ২৩ জুন।

মামলাটি ঢাকার ১ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আবু আব্দুল্লাহ ভুইয়া বলেন, ‘রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮৪ জনের মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৫ জন।’

গত ৫ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। করোনা প্রার্দুভাবের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলাটির সাক্ষ্য হয়নি। তিনি সাক্ষ্য দিলেই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম সমাপ্ত করা হবে। আশা করছি, আদালত চালু হলে সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শেষ করা হবে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মাওলানা আকবর হোসাইন, মুফতি আব্দুল হাই (পলাতক), হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর (পলাতক), মাওলানা আবু বকর, মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মাওলানা তাজউদ্দিন (পলাতক) ও আরিফ হাসান সুমন। আসামিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির, হাফেজ ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ ও মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল। ৩০২/৩৪ ধারায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ