Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ নেতার হাত কেটে বিচ্ছিন্ন, মূল আসামীসহ গ্রেফতার ৪

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ৭:২৪ পিএম

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান মিন্টুর হাত-পা কেটে ফেলার ঘটনায় মূল আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা এ-তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) উৎপল কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল বি মাহমুদুল হাসান ও সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার প্রমুখ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-মূল আসামি মেহেদী হাসান বাঁধন (৩০)। তিনি কুড়িগ্রাম সদরের শিবরাম গ্রামের মুকুল বকসীর ছেলে। মো. রশিদ মিয়া (৩৫)। তিনি কুড়িগ্রাম সদরের তালুক কালোয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। মাজহারুল ইসলাম মনোয়ার (৩০)। তিনি কুড়িগ্রাম সদরের আধগ্রাম খোলারপাড় গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। আল আমিন আহম্মেদ শুভ (২৬)। তিনি কুড়িগ্রামের কৃঞ্চপুর বকসীপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ দুলালের ছেলে। পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, ঘটনার পর চলতি মাসের ৯ এপ্রিল আল আমিন আহম্মেদ শুভকে গ্রেফতার করা হয়। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। শুভ’র কাছ থেকে অপর আসামিদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ অভিযানে নামে।

বিভিন্ন সূত্রে মূল আসামি বাঁধনসহ অন্যান্যরা ঢাকায় অবস্থান করছে বলে শনাক্ত করা হয়। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ একটি দল বুধবার রাতে ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মেহেদী হাসান বাঁধন ও রশিদ মিয়াকে একত্রে গ্রেফতার করা হয়। দুই আসামিকে রাতেই কুড়িগ্রামে নেওয়ার পথে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোররাতে আরেক আসামি মাজহারুল ইসলাম মনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। চার আসামির মধ্যে বাঁধন ও আব্দুর রশিদ এজাহারভুক্ত আসামি। মাজহারুল ইসলাম মনোয়ার ও আল আমিন আহম্মেদ শুভ এজাহারভুক্ত না হলেও তদন্তে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামিরা প্রাথমিকভাবে ঘটনায় ছয়জন অংশ নেয় বলে স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান মিন্টু মোটরসাইকেল যোগে বন্ধুদের সাথে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই এলাকায় যাচ্ছিল। এসময় রাস্তায় আসামিরা পথরোধ করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসময় মিন্টুকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তার ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং বাম হাত ও দুই পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে। ঘটনার দুদিন পর ১৮ মার্চ মিন্টুর বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বাঁধনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত করে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুড়িগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ