Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টিকা নিয়ে শীর্ষ বিজ্ঞানীর ভয়াবহ এক সতর্কতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

বিশ্বের একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী করোনা ভাইরাস এবং এর টিকা নিয়ে ভয়াবহ এক সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোভিড-১৯ এর সব টিকা বন্ধ করুন। না হলে সহসাই ‘অনিয়ন্ত্রিত এক দৈত্যের’ (আনকন্ট্রোল্যাবল মনস্টার) আবির্ভাব ঘটবে। এ সতর্কতা দিয়েছেন বিজ্ঞানী গার্ট ভ্যানডেন বোশ্।ে তিনি টিকা গবেষণা বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ। বিখ্যাত বিভিন্ন কোম্পানি এবং সংস্থায় টিকা আবিস্কার এবং প্রি-ক্লিনিক্যাল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে জিএসকে, নোভারটিস, সোলভে বায়োলজিক্যাল এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া তিনি গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই- বা গাভি)-এ ইবোলা টিকা বিষয়ক কর্মস‚চির সমন্বয়ক। তিনি বিখ্যাত ভাইরোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে সার্টিফায়েড। কমপক্ষে ৩০টি প্রকাশনা রয়েছে তার। এ ছাড়া রয়েছে বিপুল অর্জন। বর্তমানে তিনি নিরপেক্ষভাবে টিকা বিষয়ক একজন গবেষক। এসব খবর দিয়ে ‘এ ফাইনাল ওয়ার্নিং’ লিখেছে, তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর টিকা একটি ‘ব্রিলিয়ান্ট’ টিকা। এই টিকা কাজ করে একটি নির্দিষ্ট লেভেলে। গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ে বলেন, এই টিকা একটি ভুল হাতিয়ার, যা বিশ্বজুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রচ- সংক্রামক প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে এটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩রা মার্চ তিনি এক টুইটে লিখেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে গণহারে যে টিকাদান কর্মসুচি চলছে তার প্রভাব নিয়ে আমি চরমভাবে উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আমার বৈশ্বিক সতর্কতা এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ পড়–ন। এ কথা বলেই তিনি একটি সাইটের লিঙ্ক দিয়েছেন। সেখানে একটি পিডিএফ ফাইল দেয়া আছে। তিনি নিজে সৃষ্টি করেছেন এমন একটি প্রেজেন্টেশনের স্লাইড রয়েছে এতে। এর শিরোনাম- ‘কেন মহামারির মধ্যে গণহারে কোভিড-১৯ এর টিকা ব্যবহার করা উচিত হবে না?’ ড. গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ে এতে সতর্ক করেছেন যে, টিকাকে বিশ্বে ব্যাপক বিধ্বংসী এক জীবাণুঅস্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে। এতে এক অনিয়ন্ত্রিত দৈত্যের সৃষ্টি করছে বিশ্ব। তার লেখায় তিনি বলেছেন, তুলনাম‚লকভাবে কম ক্ষতিকর একটি ভাইরাসকে ব্যাপক বিধ্বংসী জীবাণুঅস্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে। এ অবস্থায় হয়তো কেউ একজন কার্যকারিতা নিয়ে এই পর্যায়ে উপনীত হওয়ার খুব কম পরিমাণ কৌশলের কথাই ভাবতে পারেন। গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ে মনে করেন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ, ক্লিনিকবিদ, বিজ্ঞানীরা স্বল্পকালীন একটি ফলাফলের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন। তারা বৈশ্বিক জনগোষ্ঠীর পরিণতির দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, এটা খুব শিগগিরই প্রমাণিত হবে । প্রমাণিত হবে যে কিভাবে একটি ক্ষতিকর ভাইরাসকে একটি অনিয়ন্ত্রিত দৈত্যে পরিণত করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের ‘ইমিউন এসকেপ’ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ বলেন, অধিক সংক্রমণযুক্ত বহু ভাইরাল ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হচ্ছে। এরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। চলমান টিকাদান কর্মস‚চিতে উচ্চ মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে যাবে এসব ভ্যারিয়েন্ট। এ ঘটনায় নতুন ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করতে পারবে না বর্তমানের কোন টিকাই। এ অবস্থায় আমরা মহামারির মধ্যে যতই মানুকে টিকা দিই ততই ভাইরাস আরো বেশি সংক্রামক হয়ে উঠবে। এসব ভ্যারিয়েন্ট টিকার বিরুদ্ধে কাজ করে। তিনি দাবি করেন তার শিক্ষার্থীদের টিকা বিষয়ক ক্লাসে যে প্রাথমিক ম‚লনীতি শিক্ষা দিয়ে থাকেন তা হলো- যখন জনগণের মধ্যে কোনো ভাইরাস ভয়াবহ আকারে সংক্রমণ দেখা দেয় তখন সে ক্ষেত্রে কারো টিকা নেয়া উচিত হবে না। এ অবস্থায় টিকা দেয়া হলে রূপান্তরযোগ্য ভাইরাস নতুন আরেকরূপে পরিবর্তন হবে। ফাইনাল ওয়ার্নিং।



 

Show all comments
  • Sakhawat Khan ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৫ এএম says : 0
    I earnestly requested Hon. Minister for Health not to apply any vaccine at this juncture with out third country trials on side effects & strain variant. Unfortunately, business opportunity looms large out of vaccine for certain quarters with in GOB syndicate. It's waste of money indeed & a great collapse of immune system among mass people. African Union already banned the use of Oxford vaccine.
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul Hassan ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১:২০ এএম says : 1
    আমিও একমত। কয়েক দিন ধরে দেখছি যারা মারা যাচ্ছে অধিকাংশ মানুষ করোনার টিকা নিয়ে মারা গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahabubur Rahman Faisal ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১:২১ এএম says : 4
    ভন্ডামীর সীমা থাকা উচিত। ভ্যাকসিনে যেসব জীবাণু প্রবেশ করানো হয়েছে সেগুলোর রেপ্লিকেশন সক্ষমতা নষ্ট করেই শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে। যেসব প্রোটিন এর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছে সেগুলোও স্বল্প সময়েই ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু এখানে একটা কথা সত্যি যে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট হবে। মানুষের জীবন রক্ষা জরুরী। মাঝে মাঝে এরকম স্বনামধন্য কিছু বায়াসড বিজ্ঞানীর অভির্ভাব হয় যারা সার্স ১ এর পিয়ার রিভিউড থিসিস দিয়ে সার্স ২ এর ও সেইম বলে চালিয়ে দিয়ে ফেসবুকে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ৷ ভ্যাকসিনে কিছু রক্ত জমাট বাধার ঘটনা ঘটেছে সত্য। তবে এগুলোকে দেখিয়ে দেখিয়ে কিছু পশ্চাৎপদ গোষ্ঠী মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, এতে মানুষের ক্ষতি হচ্ছে অনেক। বৃহত্তর লাভের অাশায় ক্ষুদ্রতর ক্ষতিকে মেনে নিয়েই বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। মিডিয়ার এসব নিউজ না করা উচিত যাতে ভন্ডরা অারো বেশি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে । অামেরিকার ফ্ল্যাট অার্থ থিওরীর গর্ভদ সো কলড বিজ্ঞানীরা এখনও বলে বেড়ায় পৃথিবী নাকি সমতল৷ অমানুষের দল..
    Total Reply(0) Reply
  • Sd Rubel ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১:২১ এএম says : 2
    আমার ধারণা করোনা অন্যান্য সাধারণ ভাইরাসের মতোই একটি ভাইরাস .অথচ বিশ্ব মিডিয়ায় এটাকে নিয়ে এমন ভয়ানক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে মানুষ করোনায় নয় করোনা নামক শব্দ বোমায় মারা যাচ্ছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Maruf Khan ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১:২১ এএম says : 1
    উনি ঠিকই বলেছেন।টিকা নেয়ার কারণেই বিভিন্ন দেশে এখন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ কামাল ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১:২২ এএম says : 2
    যারা টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে ই মৃত্যু হার বেশি
    Total Reply(0) Reply
  • Tauhidul Alam ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১:২২ এএম says : 0
    টিকা নিয়ে কি তাহলে ভুল করলাম? যারা ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন তাদের কি করা উচিৎ সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf Sikder ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১:২২ এএম says : 0
    This is his individual opinion , yet it is endorsed by any recognised research body in the world . So pls don’t spread panic and encourage your never-hood to take vaccine . Thanks
    Total Reply(0) Reply
  • Bablur Rashid ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১০:০০ এএম says : 0
    ভাইরাসটির যদি সত্যি সত্যিই নিজের রুপ পাল্টানোর ক্ষমতা থাকে তাহলে তো উক্ত বিজ্ঞানীর কথা সঠিক বলে মনে হচ্ছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • শাহানা চৌধুরী ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫২ এএম says : 0
    উনি সঠিক কথাই বলেছেন। টিকা পরবর্তী যে ভেরিয়েন্ট সৃষ্টি হবে তার মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পরবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ড. মনোয়ারুল ইসলাম ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ৫:০২ এএম says : 0
    বৃহত্তর লাভের আশায় ক্ষুদ্রতর ক্ষতির কারনে হিরসিমা নাগাসাকি -র কথা মনে রাখা উচিত। বোকার মত কথা না বলে জীবাণুর পরিবর্তন ও পরিবেশ নিয়ে ভাবা উচিত। একটি প্রাণ অনেক মূল্যবান, কারণ আইনস্টাইন একজন,জগদীশ চন্দ্র একজন,নিউটন একজন,গেটে, এরিস্টটল, সক্রেটিস সবাই একজনই ছিলেন। ধীরস্থির হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই উত্তম, হুজুগে নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Yunus ৯ জুলাই, ২০২১, ২:৩৯ পিএম says : 0
    এই গবেষক ঠিক কথা বলেছেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ