Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আক্রান্তরা দ্রুত মারা যাচ্ছেন

আইইডিসিআরের গবেষণা প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তরা আগের চেয়ে এখন কম সময়ে (দ্রুত) মারা যাচ্ছেন। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হারও বেড়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি তীব্রতা নিয়ে। মহামারীর প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যেও। সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবছরের মার্চে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩৮ জন। এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৪১ জন। পরের দিন দিনে মারা গেছে ৩০৪ জন। সে অনুযায়ী দুই সপ্তাহেই মৃত্যুর হার এক লাফে ৪৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ বছর এপ্রিলে আগের বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হারের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল মাসের সঙ্গে এ বছরের একই সময়ের তুলনা করে দেখা গেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেউ মারা যায়নি, মার্চে পাঁচজন আর এপ্রিলে ১৬৩ জন মারা গেছেন। আর চলতি বছরের এই তিনটি মাসে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৮১, ৬৩৮ এবং ৯৪১ + ৩৪ = ১২৪৫ জন।

২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআর বলছে, এ সময় আক্রান্তদের ৪৪ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ৩৩ শতাংশ রোগী প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে, ১৭ শতাংশ বাড়িতে এবং ছয় শতাংশ অন্যান্য উপায়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, যারা মারা গেছেন, তাদের ৫২ শতাংশই উপসর্গ শুরুর পাঁচদিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২৬ শতাংশ পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এবং ১২ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হন উপসর্গ শুরুর ১১ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে মারা গেছেন ৪৮ শতাংশ এবং পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ শতাংশ রোগীর।

এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী খুব দ্রæত মৃত্যুবরণ করছেন।
এতে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীতে সংক্রমণের আতঙ্ক, চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, মৃত্যুভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বেকারত্বের কারণে মানসিক সমস্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছে আইইডিসিআর।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জরিপের ফলাফল তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রোগের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে ছয় দশমিক সাত শতাংশের মধ্যে বিষন্নতা এবং চার দশমিক সাত শতাংশ মানুষে ভুগেছেন দুঃশ্চিন্তায়।

আইইডিসিআর বলছে, করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মধ্যে বিষন্নতা, ৩৩ শতাংশের মধ্যে দুঃশ্চিন্তার লক্ষণ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা চাপ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।



 

Show all comments
  • ছোট্টো হুজুরনী. ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ এএম says : 0
    আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হেফাজতে রাখুন, আর যারা অসুস্থ তাদের সুস্থ তা দান করুন, যারা মৃত্যু বরন করছে আল্লাহ পাক যেনো তাদের জান্নাত বাসি করেন আমিন, , করোনাকে নয় আল্লাহ পাক কে ভয় করুন
    Total Reply(0) Reply
  • হেরে গিয়েছি জীবনের বাজি ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ এএম says : 0
    ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেচে নেই, থাকলে এই করোনা ভাইরাস নিয়ে কত কবিতা লিখতেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mamunur Rashid ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ এএম says : 0
    বাংলাদেশে এখন আক্রমণ করছে ২ টি ভাইরাস! ১ টি করোনা" অন্যটি ভারতীয় ভাইরাস!! দুটো প্রতিরোধেই সতর্ক ও সজাগ থাকুন!
    Total Reply(0) Reply
  • Lion Morshed Tipu ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
    সবচে মজার বিষয়,গতো ২০ সালে করোনায় মারা যায় ৫০ জনের মতো অার এবার টিকা নিয়ে ও এতো সতর্কও হয়েও ১০০+ মানুষ মারা যাবে কেন,এখানে সঠিক নিউজ জাতিকে দেওয়া হচ্ছে না
    Total Reply(0) Reply
  • Rakib Hossain ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ এএম says : 1
    দেশের সব আলেমদের জেলে ঢুকানোর পর মৃত্যু কিছুটা কমবে l
    Total Reply(0) Reply
  • Sarowar Sohel ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
    ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন.. সবাই সাবধানে থাকেন...
    Total Reply(0) Reply
  • Amzad Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
    কোন জেলায় কত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ খবর কেউ জানায় না।কারণ নিষেধ আছে মনে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:০১ পিএম says : 0
    O'Muslim give up all the sins you are committing and follow Qur'an and Sunnah strictly and repent for your sins everyday several times and do no go back to commit that sin Again, Then InshaAllah Allah will remove corona virus from our country. তওবা করার শর্ত : ১। সর্ব প্রথম স্বীকার করতে হবে যে আমি বিশ্বের সব থেকে মহাপাপী। ২। অনুতপ্ত হওয়া। ৩। পাপ বন্ধ করতে হবে। ৪। পাপকে মন থেকে ঘৃনা করতে হবে। ৫। আল্লাহর কাছে ওয়াদা করতে হবে যে জীবনে কখনও এই পাপ কাজটি আর করবো না।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:০৫ পিএম says : 0
    যিকির এর ফজিলত : অতঃপর তোমরা আমাকে স্বরণ করো আমি তোমাদেরকে স্মরনে রাখবো। আর আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং আমার নিয়ামতের নাশোকরী করো না। বাকারা ১৫২ আয়াত। হে ঈমানদারগণ। আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ করো। আল আহযাব- আয়াত ৪১ আর আল্লাহকে অধিক মাত্রায় স্মরণকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট পুরষ্কার নির্দিষ্ট রেখেছেন। আল আযাহাব আয়াত- ৩৫ তোমার রবকে স্মরণ করো মনের মধ্যে দীনতার সাথে ও ভীত সহকারে এবং উচ্চ আওয়াজের পরিবর্তে নিম্নস্বরে সকাল সন্ধায় (সর্বক্ষণ) আর তোমরা উদাসীনদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না। সূরা- আল আরাফ, আয়াত - ২০৫। নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি তার রবের জিকির (স্মরণ) করে, আর যে ব্যক্তি তার রবের স্মরণ করে না তারা যেন জীবিত আর মৃত।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:০৭ পিএম says : 0
    আর নামাজ কায়েম করো। কারণ, নামাজই তো তোমাকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। আল্লাহ তা আলার স্মরন-ই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যাই করো আল্লাহ তা সবই জানেন (সূরা- আল-আনকাবুত, আয়াত- ৪৫)। বর্ণিত আছে যে, বুরেদা ইবনুল হুসায়েব। আমি নবীজিকে বলতে শুনেছি যে চুক্তিটি আমাদেরও কাফেরদের মধ্যে পার্থক্য করে তা হলো নামাজ এবং সে এটিকে অবহেলা করে। সে কুফরী করেছে সে কাফীর হয়ে গেছে। অবশ্য তারা (কাফীর) যদি তওবা করে, নামাজ কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমি বিধান সমূহে জ্ঞানী লোকদের জন্য সর্বস্তরে বর্ণনা করে থাকি। সূরা তাওবা, আয়াত- ১১। শাই তান তাদের উপর আদিষ্ট হয় যারা পাপিষ্ট ও মিথ্যাবাদী। যে আল্লাহর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার উপর আল্লাহ একটা শাইতান নিযুক্ত করে দেন। আইসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেছেন সব থেকে ঘৃনিত ব্যক্তি যে তার বিরোধীর সাথে প্রচন্ড ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:০৯ পিএম says : 0
    “প্রভু, সৎকর্মশীলদের সাথে আমাকে মৃত্যু দান করো, অসৎদের মধ্যে আমাকে ছেড়ে দিও না, এবং উত্তম লোকদের সাথে মিলন ঘটাও”। হে আল্লাহ! আমার কান ও চক্ষুর শুদ্ধি প্রদান করো এবং আমার মৃত্যু পর্যন্ত এই গুলিকে সুস্থ্য সবল রাখ। যে আমার প্রতি যুলুম করেছে তার মোকাবেলায় তুমি আমাকে সাহায্য করো এবং তুমি নিজে তার যুলুমের প্রতিশোধ নাও আমাকে দেখিয়ে দাও। “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রই চাই এমন সালাত (নামাজ) হতে যা কোন উপকারে আসে না। হে আল্লাহ! নিশ্চই আমি আপনার কাছে আশ্রই চাই এমন ইলম থেকে যা কোনো কাজে আশে না, এমন আমল থেকে যা উপরে উত্থিত হয় না, এমন হৃদয় তেকে যা বিনয়ী হয় না এবং এমন কথা থেকে যা আল্লাহর নিকট শোনা হয় না। হে আল্লাহ ! আমাকে আপনার নবীর সুন্নাতের উপর জীবিত রাখুন, তার নীতি-আদর্শের উপর মৃত্যু দিন, আর আমাকে ভ্রষ্টকারী ফিতনা সমূহ থেকে আপনার আশ্রয় দিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:১০ পিএম says : 0
    মুমিন তো তারাই যখন আল্লাহর নাম নেওয়অ হয়, তখন তাদের অন্তর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। আল্লাহর নাম নিলে ভয়ে লোম কুপ খাড়া হয়ে যায় অথবা ঈমান বেড়ে যায়। হেকমত মানে সুন্নাহ আমল কবুল হওয়ার ৪টি শর্ত ১। আল্লাহর হুকুম ২। রসুলের তরিকা ৩। ইখলাস ৪। হালাল রুজী জবাব দিহিতা ইসলামের একটি অন্যতম মৌলিক বিষয়। রাসুল (সাঃ) বলেছেন “তোমরা প্রত্যেকেউ দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সর্ম্পকে জিজ্ঞাসিত হবে। হে আল্লাহ : আমাকে দূরে রাখুন খারাপ চরিত্র থেকে, কু প্রবৃত্তি থেকে, খারাপ কর্ম থেকে এবং খারাপ রোগ থেকে। নবী (সাঃ) বলেন, লজ্জাশীলতা সে বস্ততেই থাকুক তা তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আর অশ্লীলতা কোন কিছুতে থাকলে তা তাকে অপদস্থ করে। ইবনু ওমার (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) একটি মজলিসে একশত বার আল্লাহর দরবারে এই ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। রব্বিগফিরলী ওয়াতুব আলাইয়্যা ওয়ারাহামনী ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রহীম” অর্থ ঃ “প্রভু, আমাকে ক্ষমা করো, আমার তওবা কবুল করো, আমাকে দয়া করো, কেননা, তুমিই তাওবা কবুলকারী অতি দয়ালু।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:১১ পিএম says : 0
    ১। আল্লাহর হুকুম ২। নবীর তরিকা কোরআনের দাবী: ১। কোরআন বেশী বেশী পড়া ২। বুঝে পড়া ৩। আমল করা ৪। দাওয়াত দাও ৫। তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছে জামাত বদ্ধ হও।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:২০ পিএম says : 0
    পৃথিবীর মধ্যে জঘন্য সেই মানুষ সে তার বিবেক কাজে লাগায় না। অবশ্যই লজ্জাশীলতা ও ঈমান একই সূত্রে গাথা। একটা চলে গেলে অপরটিও চলে যায়। আর তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে দ্বীন ইসলামকে একত্র হয়ে সুদৃড়ভাবে আকড়ে ধরো আর পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আল ইমরান- ১০৩ শরিয়তের চুড়ান্ত লক্ষ হচ্ছে স্বার্থ সংরক্ষণ ও কল্যাণ সাধন। নিশ্চই আল্লাহ তাদের সাথে, যারা তাকওয়া (আল্লাহকে ভীষণভাবে ভয় করে) অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মশীল: সুরা ১৬ - আয়াত- ১২৮। এবং জেনে রেখো, নিশ্চই আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ