Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দাম ভালো পাওয়ায় খুশি মাদারীপুরের খামারিরা

প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা

মাদারীপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে গরু-ছাগলের বেচাকেনা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সাধারণ গৃহস্থ ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বেপারিরা। তবে এ বছর বড় গরুর চাহিদা মন্দা। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের স্বাস্থ্যবান গরু। মাদারীপুরের হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না আসায় ভালো দাম পেয়ে খুশি স্থানীয় বিক্রেতা ও খামারিরা। দাম একটু চড়া হলেও পছন্দমত গরু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারাও। মাদারীপুরের প্রধান পশুর হাটগুলো হচ্ছেÑ চরমুগুুরিয়া মাথাভাঙ্গা, ছিলারচর আচমতআলী খান সেতু ব্রীজ সংলগ্ন মাঠ, বাংলাবাজার, কালকিনি উপজেলার গোপালপুর, রাজৈরের টেকেরহাট। নিয়মিত এ হাটগুলোর পাশাপাশি কুরবানি উপলক্ষে বসেছে আরো অস্থায়ী অসংখ্য গরু-ছাগলের হাট। স্থায়ী-অস্থায়ী এসব হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি, ব্যাপারি ও গৃহস্থরা ভিড় করছেন গরু-ছাগল কেনাবেচার জন্য। বিশেষ করে গত ৩-৪ দিন পশুর হাটগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।মাথাভাঙ্গা, ছিলারচর আচমতআলী খান সেতু ব্রীজ সংলগ্ন মাঠ হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট-বড়, মাঝারি বিভিন্ন আকারের অসংখ্য গরু উঠেছে। কুরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে-ফিরছেন সাধ্যের মধ্যে তাদের পছন্দের গরুটি কেনার জন্য। অধিকাংশ ক্রেতা বাড়ি ফিরছেন কোরবানির গরু কিনে। কেউ কেউ আবার অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্তের জন্য। মাথারভাঙ্গা হাটে কথা হয় চরনাচনা গ্রামের আবুল কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাটে পছন্দের গরুর অভাব নেই। তিনি তার সাধ্যের মধ্যে ৫০ হাজার টাকায় মাঝারি আকারের একটি ভালো ষাঁড় গরু কিনেছেন। গত বছর এ ধরনের গরু ৪৪-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তিনি জানান, এবার ভারতীয় গরুর চাপ কম থাকায় দেশি গরুর দাম একটু বেশি। আচমতআলী খান সেতু ব্রীজ সংলগ্ন মাঠ হাটে কথা হয় কালিকাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, হাটে ৭০-৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দামের অনেক বড় বড় গরু এসেছে। এলাকার অনেকে ভাগে এ ধরনের গরু কিনে কোরবানিতে শরীক হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যগত নানা বাধার কারণে কেউ আবার অংশীদার হয়ে বড় গরু কেনার পক্ষে নন। যে কারণে একাই ২৫ হাজার টাকায় কোরবানির জন্য একটি গাভী গরু কিনেছেন। এ ধরনের অসংখ্য ক্রেতাকে দেখা যায়, ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কিনে তারা খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন। মাদারীপুর সদরের চরমুগুরিয়া, বাংলাবাজার, কালকিনি গোপালপুর হাটের বিক্রেতা ও খামারিরা জানান, এবার হাটে ছোট ও মধ্যম সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। এ ধরনের গরুর এনে তারা ভালো দাম পেয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাম ভালো পাওয়ায় খুশি মাদারীপুরের খামারিরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ