Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেশি গুরুত্ব দিয়েছি কৃষি গবেষণায়

কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন থেকেই আমরা কৃষি গবেষণায় বেশি গুরুত্ব দেই। আজকে গবেষণার ফলে আরও নতুন নতুন ধরনের ফসল উৎপাদন- তরি-তরকারী, ফল-মূল এবং দানাদার খাদ্য-শষ্য উৎপাদিত হচ্ছে। আরো পণ্য যেন উৎপাদন হতে পারে তার জন্য ব্যাপক হারে গবেষণা হচ্ছে। সরকারও উন্নতমানের বীজ আমরা সরবরাহ করছে। যার ফলে কৃষক খুব অল্প কষ্টে অধিক পরিমানে খাদ্য উৎপাদন করতে পারছেন।
গতকাল কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভাষণটি টেভিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের কৃষিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কৃষি-ভত্তিক অর্থনীতি আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কৃষি অর্থনীতির সাথে আমরা শিল্পের দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছি। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা এবং দেশে-বিদেশে পণ্য রপ্তানী করতে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, কৃষি আমাদের উন্নয়নের সব থেকে বড় মাধ্যম। কৃষক-কৃষাণীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাদ্য উৎপাদন করেন। সেই খাদ্য খেয়েই আমরা বেঁচে থাকি। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কৃষকদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করে, তাদের গুলিতে সার চাইতে গিয়ে ১৮জন কৃষককে জীবন দিতে হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, তখন থেকে কৃষকদের আর কোন কষ্ট থাকতে পারেনি, কারণ আমরা তাদের প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। বর্গাচাষীরা যাতে বিনা জামানতে ঋণ পায় সে ব্যবস্থা করেছি। সারের দাম যা বিএনপি সরকারের আমলে ৯০ টাকা ছিল, তা আজ ১২ টাকা। গবেষণার মাধ্যমে উন্নত বীজ আমরা উৎপাদন করে তা সরবরাহ করছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করেছি, ৭০% এর উপর ভর্তুকি দিচ্ছি। সেচ কাজে কৃষক যে বিদ্যুৎ ব্যাবহার করেন সেখানে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি এবং কৃষকের বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে নিশ্চিত হয় তার ব্যাবস্থা আমরা নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য আমরা যথাযথ দাম নির্দিষ্ট করছি এবং কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে সমস্ত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। উৎপাদন যাতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হতে পারে- তার জন্য যথাযথ- মাটি পরীক্ষা করা থেকে শুরু করে সর্ব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কৃষক একটা মোবাইল ফোন ধরে ছবি তুলে তার ফসলের কী অবস্থা, মাটির কী অবস্থা বা মাটি পরীক্ষা করা এবং কী ধরনের সার ব্যবহার করবেন, কতটুকু ব্যাবহার করবেন বা কীটনাশক ব্যাবহার করবেন কীনা বা কতটুকু করবেন সব পরিমাণ যাতে পেতে পারে সেই ধরনের কৃষি তথ্য যাতে তারা পেতে পারেন সে তথ্যকেন্দ্র সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি।
করোনায় ধানকাটা নিয়ে সমস্যা হলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের সকলে মাঠে নেমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। যান্ত্রিকীকরণের জন্য হারভেস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের যন্ত্র আমরা ধীরে ধীরে কৃষকের হাতে পৌঁছে দিব।
প্রধানমন্ত্রী কৃষকলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই দিনে আমার দুঃখ একটাই- আমি নিজে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। প্রতি বছর আমরা কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করি। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য-সুরক্ষার যে নির্দেশাগুলো দিয়েছি, সেগুলো মেনে চলতে হবে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে যেন দেশ ও জাতি মুক্তি পায়- তার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে সবাই দোয়া করবেন যেন বাংলাদেশ এই মহা-দুর্যোগ থেকে যেন দ্রুত মুক্তি পেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ