Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শক্তিশালী হলেও আধিপত্য বিস্তার করবে না চীন

বোয়াও সম্মেলনে শি জিনপিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই এক ন্যায়পরায়ণ বিশ্বের আহ্বান জানালেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার বিশ্ব শাসনের বর্তমান ক্ষমতাকাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিরি বলেন, তার দেশ যতই শক্তিশালী হয়ে উঠুক না কেন, কখনই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করবে না।

চীনের হাইনান প্রদেশে আয়োজিত এশিয়ার জন্য বার্ষিক বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিনপিং বলেন, ‘যদিও চীন শক্তিশালী হতে পারে তবে তারা কখনই আধিপত্য, ক্ষমতার প্রসার বা প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে না এবং চীন কখনই কোনও অস্ত্রের লড়াইয়ে অংশ নেবে না।’ মানবাধিকার থেকে শুরু করে অন্যায় বাণিজ্য ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশের সাথে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের শিকার হয়েছে চীন। এই দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, চীনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাবে বিশ্বব্যাপী শৃঙ্খলা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়ে জিনপিং বলেছেন, পৃথিবীর মানুষ আধিপত্য নয়, ন্যায়বিচার চায়। কোনো দেশ তার ওপর খবরদারিকে মেনে নিতে চায় না।

উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে চরম উত্তেজনা বিরজ করছে। এমন অবস্থায় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শি জিনপিং। এতে তিনি কিছু দেশের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং বিচ্যুত হওয়ার কারণে তাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ঐ সব দেশের এমন আচরণ অন্যদের ক্ষতির কারণ হবে। আদতে তা থেকে কেউই সুবিধা পাবে না।

জিনপিং তার বক্তৃতায় কিছুসংখ্যক দেশের ‘প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি’ ও ‘বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার’ চেষ্টারও সমালোচনা করে বলেন, এ ধরনের চেষ্টা অন্যদের ক্ষতি করবে এবং কারোরই লাভ হবে না। চীন দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের আধিপত্যের বদলে বিশ্বব্যবস্থায় নিজেদেরসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের আরো প্রতিফলন দেখতে চাওয়ার কথা বলে আসছিল। বিদ্যমান বৈশ্বিক শাসনকাঠামোর সবচেয়ে বড় শরিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মানবাধিকার থেকে শুরু করে অন্য দেশের ওপর বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক প্রভাবসহ একাধিক বিষয়ে বিরোধ চলছে।

অস্ট্রেলিয়াসহ দেশগুলির বিরুদ্ধে চীন নিজেই একতরফা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় জড়িত রয়েছে, পরে সেই দেশগুলি চীনের করোনাভাইরাস পরিচালনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের পক্ষে সমর্থন জানায়। ২০১৪ সালের শেষদিকে চীনে ভাইরাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। কোনও দেশের নাম না দিয়েই শি বলেছেন, বড় দেশগুলির এমন একটি আচরণ করা উচিত ‘তাদের মর্যাদার উপযোগী হওয়া এবং আরও বৃহত্তর দায়িত্ববোধের সাথে।’ তিনি একটি ‘শীতল যুদ্ধ’ মানসিকতা এবং ‘আদর্শিক সংঘাতের’ বিরুদ্ধেও বক্তব্য রেখেছিলেন এবং যোগ করেন যে, অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী কোনও দেশই সমর্থন পাবে না। সূত্র : সিএনবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ