Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ‘তৃতীয় ঢেউয়ের’ শঙ্কা

ভার্চুয়াল সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১০ এএম

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘তৃতীয় ঢেউয়ের’ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আমরা কত চিকিৎসা দেব? কত শয্যা কত হাইফ্লো নেইজল ক্যানুলা বাড়াব? কত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করব? হাসপাতাল ও হাসপাতালের শয্যা রাতারাতি বাড়ানো যায় না। তারপরও আমরা আড়াই হাজার শয্যা থেকে ৭-৮ হাজার শয্যায় উন্নীত করেছি। ফলে দশগুণ রোগী সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বারবার এমন পরিস্থিতি হলে সামাল দেয়া ‘সম্ভব হবে না’।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউ সামাল দেয়া গেছে। এক সময় দৈনিক মৃত্যু নেমে এসেছিল ৫ থেকে ৭ জনের মতো। সংক্রমণ ছিল সাড়ে তিনশ-চারশর নিচে। মানুষের বেখেয়ালিপনা আর অসতর্কতার কারণে সেটি আবার বেড়েছে। হঠাৎ করে আক্রান্ত কেন ৭ হাজার হল, মৃত্যু কেন একশর বেশি হল- এগুলো দেখার বিষয় আছে। করোনাভাইরাসের ঢেউ এল কীভাবে, কারা আনল- এগুলো চিহ্নিত করতে হবে। কারণগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে না পারলে বাংলাদেশ সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়বে এবং তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, এই যে আমরা ঘোরাঘুরি করি বেসামালভাবে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গেলাম, মাস্ক পরলাম না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলাম না। এই কারণে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। একই কাজ যদি আমরা আবার করি তাহলে তৃতীয় ঢেউ আবার আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান বিশে^ প্রায় ১০০ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায়না। আমাদের দেশেও কিছু মানুষ নানা কারণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে না। এর মধ্যে দেশে পুষ্টিকর খাদ্যে ভেজাল বা কেমিক্যাল মিশানোর ফলে অনেক মানুষ সাধ্য থাকলেও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করেনা। বর্তমানে প্রায় সব ধরণের ফল-মূলেই বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানো হচ্ছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে না পারলে কেমিক্যালযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে নিকট ভবিষ্যতে দেশের বহু মানুষ নানারকম জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হবেন। একারণে খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় সংযুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, এবারের পুষ্টি সপ্তাহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বজায় রাখতে হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম আবদুল আজিজসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা খাতের চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রসঙ্গত, এবারের পুষ্টি সপ্তাহ আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এ সময়েরর মধ্যে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭ দিন ব্যাপী ৭ ধরনের স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হবে। এ বছর জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে- ‘খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথা ভাবুন’।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ